সংক্ষিপ্ত
- দুদিনের সফরে লাদাখ সফরে ভারতীয় সেনা প্রধান
- বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন তিনি
- সীমান্তে ক্রমশই শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত
- নজর রাখা হচ্ছে লাসা কাশগড় হাইওয়ের দিকেও
পূর্ব লাদাখ সীমান্তে চিনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই লাদাখে পৌঁছালেন ভারতের সেনা প্রধান এমএম নরাভানে। নরাভানের দুদিনের সরফ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর বলেই মনে করেছেন সেনাকর্তারা। দক্ষিণ প্যাংগং ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবস্থান খতিয়ে দেখবেন তিনি। একই সঙ্গে সীমান্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্তাদের সঙ্গে পুরো পরিস্থিতিও পর্যালোচানা করবেন বলেই সূত্রের খবর। শনিবার রাত থেকে আবারও নতুন করে উত্তেজনা বেড়েছ চিন সীমান্তে। রাতের অন্ধকারে চিনা সেনা ভারতীয় বাহিনীর উদ্দেশ্যে উস্কানিমূলক আচরণ করেছিল বলে অভিযোগ। ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে চিনা সেনাকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
চুসুল সেক্টরে পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যদের অগ্রাসনের পরই ভারতীয় সেনা বাহিনী ১৫৯৭ কিলোমিটার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় বেশ কিছু বদল এনেছে সমর সজ্জায়। সূত্রের খবর প্যাংগং লেকের দক্ষণ প্রান্তে বাড়ানো হয়েছে সেনা শক্তি। একটি সূত্র জানাচ্ছে কমপক্ষে তিনটি এলাকায় ঘাঁটি তৈরি করে অবস্থান করছে ভারতীয় সেনা। কৌশলগত অবস্থানের দিক দিয়ে ভারত যথেষ্ট সুবিধেজনক অবস্থায় রয়েছে বলেও দাবি করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্তা।
ভারতীয় সেনা বাহিনীর এক প্রবীণ কর্তার কথায় লাদাখ সীমান্তে যেসব স্থানে ভারতীয় বাহিনী খুব একটা টহল দিত না বা নজরদারী চালাত না সেই সব এলাকাগুলিতেও বাড়ান হয়েছে শক্তি। পূর্ব লাদাখ সীমান্ত সমস্ত ফাঁকা এলাকাগুলিতে সৈন্যসমাবেশ করেছে ভারত। একই সঙ্গে চিন ছাড়াও নেপাল ও ভূটান সীমান্তেও বাড়ান হয়েছে নিরাপত্তা। সেনা সূত্রের খবর শনিবার রাতে প্যাংগং লেকের দক্ষিণে অবস্থিত 'কালা পাহাড়' দখলের চেষ্টা করেছিল চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা। রাতের অন্ধকারেই সেই প্রচেষ্টা প্রতিহত করে ভারত। একই সঙ্গে 'কালা পাহাড়'এ নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করে ভারতীয় সেনা।
সেনা সূত্রে খবর দোপসাং সমভূমিতেও চিন সৈন্য সমাবেশ বাড়িয়েছে। আর তা প্রতিহত করার জন্য ইতিমধ্যেই সেখানেও মোতায়েন করা হয়েছে ভারতীয় সেনা। দোপসাং সমভূমিতে চিনা ও ভারতের সমর যান প্রায় মুখোমুখি অবস্থান করছে বলেও গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে ডেমচেক আর চুমরা এলাকায় ভারতীয় বাহিনী আধিপত্য বিস্তার করছে। প্রবলভাবে নজরদারী চালানো হচ্ছে লাসা-কাশগড় হাইওয়ের দিকে। কারণ এটিই হল চিন থেকে ভারতের দিকে সৈন্য পাঠানোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা।