সংক্ষিপ্ত
দেশে ওমিক্রন সংক্রমণের ক্রমবর্ধমান সংখ্য়ার প্রেক্ষিতে, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন (UP Elections 2022) পিছিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High court)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) এবং ও ভারতের নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission of India) রাজনৈতিক সভা-সমিতি বাতিলের কথা বিবেচনা করতেও বলেছে আদালত।
দেশে ক্রমবর্ধমান কোভিড-১৯ মহামারির তৃতীয় তরঙ্গের (COVID-19 Third Wave) হুমকির প্রেক্ষিতে, উত্তরপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন (UP Elections 2022) এক বা দুই মাস পিছিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High court)। বৃহস্পতিবারই, ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন রূপান্তর ওমিক্রন (Omicron) সংক্রমণের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। তারপরই বিধানসভা নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়টি সরকারকে বিবেচনা করতে বলল উচ্চ আদালত।
আগামী বছরের শুরুতেই উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব-সহ (Punjab) দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে এখন থেকেই রাজনৈতিক বিভিন্ন দলের সভা, সমাবেশ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার প্রেক্ষিতে সবরকম রাজনৈতিক জমায়েত নিষিদ্ধ করার কথাও বিবেচনা করার সুপারিশ করেছে আদালত এবং কোভিড সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। আদালতের মতে, রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে টিভি ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে প্রচার চালাতে পারে।
নির্বাচন স্থগিত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) কাছে আবেদন জানাতে গিয়ে এদিন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বেঞ্চের বয়ানে শোনা গিয়েছে 'জান হ্যায় তো জাহান হ্যায়', অর্থাৎ প্রাণ থাকলে পৃথিবীও থাকবে। এই একই কথা কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশব্যাপী লকডাউন (Coronavirus Lockdown) ঘোষণা করার সময় করেছিলেন। এদিন এলাহাবাদ হাইকোর্ট আরও বলেছে, এত বিশাল জনসংখ্যার এই দেশে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যে প্রয়াস নিয়েছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আদালত এখন প্রধানমন্ত্রীকে দেশে মহামারি পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করছে। .
এক জামিনের মামলার শুনানির সময় বিচারপতি শেখর কুমার যাদব (Justice Shekhar Kumar Yadav) এই পর্যবেক্ষণগুলি দেন। তিনি জানান, তার আদালতে সারাদিনে ৪০০ টি আবেদন তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আদালতের বেশ কয়েকজন আইনজীবী এই মামলাগুলি চলাকালীন সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহারের প্রোটোকল মানছেন না। এরপর দেশের কোভিড সংক্রমণ সংখ্যা এবং বিশ্বের কোন কোন দেশে লকডাউন জারি করা হয়েছে তা জানিয়ে বিচারপতি যাদব বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের কারণে বহু মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছিলেন। অনেকের মৃত্যুও হয়েছিল। নির্বাচনের মতো প্রক্রিয়া চলাকালীন, রাজনৈতিক সভা সমিতিতে যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়, তা এই দুই নির্বাচনেই প্রমাণিত হয়েছে।