সংক্ষিপ্ত

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক মনে করেছে প্রতিরক্ষা সচিব গিরিধর আরমানের এই দুই দিনের সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মায়ানমারের উর্ধ্বতন নেতৃত্বের সঙ্গে ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।

 

ভারত ও মায়ানমার সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে রীতিমত সক্রিয় কেন্দ্র। সেই কারণে মায়ানমার সীমান্তে অবৈধ যাতায়াতের বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে কেন্দ্র। প্রতিরক্ষা সচিব গিরিধর আরমানে দুই দিনের সফরে মায়ানমারে ছিলেন। মায়ানমারের চেয়ারম্যান, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিলের সিনিয়ন জেনারেল মিন অং হ্লাইং নে পি তাওএর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি দুই দিনের সফরে তিনি মায়ানমারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল মিয়া তুন উ-এর সঙ্গেও দেখা করেন। কথা বলেছেন নৌবহিনীর কমান্ডার ইন চিফ অ্যাডমিরাল মো অং ও প্রতিরক্ষা শিলের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল খান মিন্ট খানের সঙ্গেও আলোচনা করেন।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক মনে করেছে প্রতিরক্ষা সচিব গিরিধর আরমানের এই দুই দিনের সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মায়ানমারের উর্ধ্বতন নেতৃত্বের সঙ্গে ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলি উত্থাপন করেছে ভারত। পাশাপাশি উদ্বেগের কথাও জানিয়েছে। বৈঠকের সময় দুই পক্ষই সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। পাশাপাশি সীমান্ত অবৈধ যাতায়াত , মাদক পাচার ও চোরাচালানের মত বিষয়গুলি যাতে বন্ধ করা যায় তাই নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আন্তঃদেশীয় অপরাধ রুখতে দুই দেশ সক্রিয় হবে বলেও বৈঠকে স্থির হয়েছে। তেমনই জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্র। সূত্রের খবর দুই পক্ষই তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যাক্ত করেছে। তাদের নিজ নিজ অঞ্চলগুলিকে অন্যের প্রতি বিরূপ কার্যকলারের জন্য ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এই সফরটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বর্তমানে মণিপুরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত হিংসা মারাত্মক আকার নিয়েছে। মেইতি ও কুকি সম্প্রদায়ের বিবাদ ক্রমশই চরম আকার নিচ্ছে। অন্যদিকে মণিপুরের ১৭০০ কিলোমিটার সীমানার মধ্যে ৩৯৮ কিলোমিটার সীমান্ত মায়ানমারের সঙ্গে রয়েছে। মায়ানমারের এক পূর্বে সাহাইং অঞ্চল আর দক্ষিণে চিন।

মায়ানমারের পরিস্থিতির প্রভাব পড়ে ভারতের ওপর। মায়ানমারের শান্তি ও স্থিতিশীলতারও প্রভাব পরে মণিপুরের ওপর। তাই মায়ানমারের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ঁ। মেইটি ও কুকিদের মধ্যে ৩ মে থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। ৪০ হাজার মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। মেইতিরা উপত্যকায় বাস করে আর কুকিরা পাহাড়ের বাসিন্দা। তফসিলি উপজাতী তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছিল মেইতিরা। তারপর থেকেই কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।

আরও পড়ুনঃ

দাঙ্গায় অগ্নিগর্ভ ফ্রান্সে প্রকাশ্যে আসছে বর্ণবৈষম্য, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিকল্পের সন্ধানে প্রশাসন

মধ্যপ্রদেশের অন্যমেজাজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আম বাগানে কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে

বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার ফাঁকে আদালতে প্রবল বচসা শোভন-রত্নার, 'নীরব দর্শক' বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়