দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সোমাবর বৈঠকসর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন অমিত শাহদিল্লির মহামারী রুখতে একগুচ্ছ পদক্ষেপপাঠান হচ্ছে ডাক্তার আর আমলা  

দেশের রাজধানীর করোনা মরামারী রুখতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার দিল্লি সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বাজাল। বৈঠকের পর কেন্দ্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানিয়েছেন বৈঠক খুবই ফলপ্রসূ। রাজধানীর করোনা সংক্রমণ রুখতে নেওয়া হবে একগুচ্ছ পদক্ষেপ। পাশাপাশি আগামিকাল পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার জন্য সর্বদলীয় বৈঠকও ডেকেছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে সোমবার সকাল ১১টায় নর্থব্লকে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। দেশের রাজধানী দিল্লি ও দিল্লি সংলগ্ন উত্তর প্রদেশ হরিয়ানায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টির নেতাদের পাশাপাশি বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান হয়েছে কংগ্রেস, বিজেপি, বহুজন সমাজ পার্টি ও সমাজবাদী পার্টির নেতাদের। 


মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ুতে সংক্রমণ নিয়ে রীতিমত সরব ছিল সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লিতে করোনা রোগীদের সঙ্গে পশুর মত আচরণ করা হয় বলেও তোপ দেগেছিল শীর্ষ আদালত। দেশের রাজধানীতে পরীক্ষার হার কম বলেও প্রশ্ন তুলেছিল। তারপরই এই রবিবার দিল্লি সরকারের বৈঠকে বসে কেন্দ্র। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশ ও হরিয়ানা সীমানা বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি সরকার। 

Scroll to load tweet…

দিল্লিতে করোনাভইরাসের সংক্রমণ রুখতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সেগুলি হলঃ 
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দিল্লিতে চার আইএএস আধিকারিকদের বদলি করা হয়েছে। দুজন আসবেন আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে। বাকি দুজন আসছেন অরুণাচল প্রদেশ থেকে। 
দিল্লি সরকারকে ৫০০টি রেল কোচ দেওয়া হবে। সেই কোচে ৮ হাজার শয্যার ব্যবস্থা থাকবে। সেখানেই আগামী দিনে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা হবে। 
আগামী ২ দিনে দিল্লিতে করোনা পরীক্ষা দ্বিগুণ ও পরবর্তী ৬ দিনে তিনগুণ করা হবে। 
দিল্লির কনটেনমেন্ট জোনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। 
অক্সিজেন সিলিন্ডার, ভেন্টিলেটার পালস অক্সিমিটারের মত চিকিৎসা সামগ্রী দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। 
ছোট হাসপাতালগুলিকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য এইমস-এর চিকিৎসদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে। 
বেসরকারি হাসপাতালের ৬০ শতাংশ শয্যা কম খরচে করোনা রোগীদের জন্য রাখার ব্যবস্থা করা হবে। 

দিল্লির করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেরজিওয়াল। তিনি বলেছিলেন দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যাবে। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।