সংক্ষিপ্ত
- কাশ্মীরবাসীর সার্বিক উন্নয়নই মোদী সরকারের মূল লক্ষ্য
- জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিযয়গুলি পর্যালোচনা করলেন অমিত শাহ
- শুক্রবার একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন তিনি
- উদ্বাস্তু-সহ একাধিক বিষয় উঠে এসেছে বৈঠকে
জম্মু ও কাশ্মীরের সার্বিক উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণ মোদী সরকারের মূল লক্ষ্য। আর তাই জম্মু কাশ্মীরের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিযয়গুলি পর্যালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার জন্য শুক্রবার একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকে অমিত শাহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর অরবিন্দ কুমার, 'র' প্রধান সামান্ত কুমার গোয়েল, সিআরপিএফ ডিজি কুলদীপ সিং।
ওই বৈঠকের একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেন অমিত শাহ। সেখানে লেখেন, "কাশ্মীরের ও কাশ্মীরবাসীর সার্বিক উন্নয়নই মোদী সরকারের মূল লক্ষ্য।" এছাড়া কাশ্মীরের টিকাকরণের অগ্রগতির জন্য জম্মু ও কাশ্মীরের লেফট্যানেন্ট গভর্নর মনোজ সিনহার প্রশংসা করেছেন অমিত শাহ। তাঁর দাবি, কাশ্মীরে ১০০ শতাংশ টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। যদিও এর মধ্যে ৭৬ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়া কাশ্মীরের কৃষকরা যাতে সঠিকভাবে কেন্দ্রীয় যোজনাগুলির সুবিধা পান তার দিকেও নজর রাখতে বলেছেন অমিত শাহ। সীমান্তের এই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের কৃষকরা যাতে প্রধানমন্ত্রী কৃষক যোজনার সুবিধা পান ও কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন তা দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কৃষির পাশাপাশি কাশ্মীরবাসীরা যাতে ক্ষুদ্র শিল্পের সুবিধা পায় সেদিকেও নজর দিতে বলেছেন। উপত্যকায় ছোটো শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একাধিক জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন। এছাড়া নব নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে বৈঠকে। প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন উন্নত পঞ্চায়েতে গিয়ে সেখানকার কাজও দেখতে পারেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- শনিবারও অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক হতে পারে, সফরসূচি বদলালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়
উদ্বাস্তুদের জন্য় বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। এছাড়া কাশ্মীরের নিরাপত্তার নানা দিক নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ মুছে দেওয়ায় জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ পায়। জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপরই দীর্ঘ সময় ধরে উপত্যকায় শান্তি বজায় রাখতে জারি ছিল কার্ফু।