ধনখড়ের পদত্যাগ নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “এ নিয়ে অযথা বিতর্ক করবেন না। ধনখড় একটা সাংবিধানিক পদে ছিলেন। তাঁর কার্যকালে তিনি ভালো কাজ করেছেন।”
প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় পদত্যাগের পর থেকে কোনো প্রকাশ্য বিবৃতি দেননি। ফলে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা ধনখড়কে ‘নিখোঁজ’ বলে অভিযোগ করছেন। এরই মধ্যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর পদত্যাগ নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। অমিত শাহ বলেন, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যগত কারণে ধনখড় পদত্যাগ করেছেন, এ নিয়ে অযথা বিতর্কের সৃষ্টি করা উচিত নয়।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “৯ সেপ্টেম্বর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কয়েকদিন আগে তিনি পদত্যাগ করেন। জগদীপ ধনখড় একটা সাংবিধানিক পদে ছিলেন। তাঁর কার্যকালে তিনি সংবিধান অনুযায়ী ভালো কাজ করেছেন। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন। এ নিয়ে অযথা বিতর্কের সৃষ্টি করা উচিত নয়।”
একই সঙ্গে, ভারত জোটের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী সুদর্শন রেড্ডি সম্পর্কে অমিত শাহ বলেন, “আদিবাসীরা আত্মরক্ষার অধিকারকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই দেশে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নকশালবাদের প্রধান কারণ এটি। আমি মনে করি, সুদর্শন রেড্ডিকে বাছাই করার মাপকাঠি ছিল বামপন্থী মতাদর্শ।”

উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র প্রার্থী হিসেবে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি. ভি. রাধাকৃষ্ণন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিরোধীরা তাদের প্রার্থী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি পি. সুদর্শন রেড্ডিকে মনোনীত করেছে। স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে গত মাসে জগদীপ ধনখড় পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই তাঁর পদত্যাগ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগ নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “এ নিয়ে অযথা বিতর্ক করবেন না। ধনখড় একটা সাংবিধানিক পদে ছিলেন। তাঁর কার্যকালে তিনি ভালো কাজ করেছেন।”
গত সপ্তাহে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ধনখড়ের পদত্যাগ নিয়ে বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, “প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড় কোথায় গেলেন? আমরা কেন নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন করছি, সেটাও ভুলে গেলে চলবে না। আমি একজনের সঙ্গে কথা বলছিলাম। আপনারা কি জানেন, পুরনো উপরাষ্ট্রপতি কোথায় গেলেন?”


