সংক্ষিপ্ত
- জেএনইউ কাণ্ডে তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার
- দিল্লির উপরাজ্যপালকে ফোন অমিত শাহের
- ইস্তফা দিলেন সবরমতী হাসপাতালের ওয়ার্ডেন
- মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে জেএনইউ কর্তৃপক্ষকে তলব
রবিবার রাতে হামলার পর সকাল থেকেই থমথমে জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। কড়া পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থাও করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস-এ। এরই মধ্যে রবিবার রাতের ঘটনা নিয়ে তৎপর হল কেন্দ্রীয় সরকার। দিল্লির উপরাজ্যপালকে জেএনইউ কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফেও জেএনইউ কর্তৃপক্ষকে তলব করা হয়েছে। অন্যদিকে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা দিতে পারেননি বলে কারণ দেখিয়ে ইস্তফা দিয়েছেন সবরমতী হস্টেলের ওয়ার্ডেন।
জেএনইউ-তে বহিরাগতদের তাণ্ডবের ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের পক্ষেও হাত গুটিয়ে বসে থাকা সম্ভব নয়। সোমবার সকালেই দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বাজাজকে জেএনইউ কর্তপক্ষের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর পরেই জেএনইউ-এর উপাচার্য-সহ শীর্ষ পদাধিকারীদের ডেকে পাঠান উপরাজ্যপাল। তাঁর সঙ্গে দেখা করে রবিবারের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, রবিবারের ঘটনা নিয়ে আলোচনার জন্য কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকেও জেএনইউ কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- জেএনইউ-তে বহিরাগতদের তাণ্ডব, মাথা ফাটল ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের, দেখুন ভিডিও
আরও পড়ুন- ১১ জন নিখোঁজ, ২৫ জন গুরুতর আহত, জেএনইউ কাণ্ডে পাল্টা দাবি এবিভিপি-র
রবিবার রাতে জেএনইউ ক্যাম্পাসের ভিতরে সবরমতী গার্লস হস্টেলে ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন হস্টেলের ওয়ার্ডেন আর মিনা ইস্তফা দিয়েছেন। পড়ুয়াদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েই তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন বলে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে জেএনইউ-এর উপাচার্য এম জগদীশ কুমার শান্তি বজায় রাখার জন্য পড়ুয়াদের কাছে আবেদন করেছেন।স তাঁর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব পড়ুয়াদের পাশে রয়েছে। কোনও বাধা ছাড়াই শীতকালীন সেমিস্টার-এর রেজিস্ট্রেশন যাতে পড়ুয়ারা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ পড়ুয়াই বিক্ষোভ, আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন না। কিন্তু কিছু বিক্ষোভকারী পড়ুয়ার জন্য বাকি ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা শীতকালীন সেমিস্টার-এর রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়েক কমিউনিকেশন সার্ভার-এর ক্ষতি করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন উপাচার্য।
জেএনইউ থেকে যে ৩৪জন ছাত্রছাত্রীকে এইমএস-এ ভর্তি করা হয়েছিল, তাঁদের প্রত্যেককেই চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ে এই অশান্তির পরিবেশে আতঙ্কে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেছেন বহু পড়ুয়াই।