সংক্ষিপ্ত

ত্রিপুরা নিয়ে কথা বলতে সময় চাইল তৃণমূল, বৈঠকে সাফ নাঅমিতের, নর্থ ব্লকের সামনে চলছে বিক্ষোভ

ত্রিপুরা নিয়ে ক্রমেই বিজেপির উপর চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল। সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির পর সোমবার সকালেই তড়িঘড়ি ত্রিপুরা ছুটেছেন  তৃণমূলের(Trinamool in Tripura) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়(Abhishek Bandopadhyay in Tripura)। অভিষেক ত্রিপুরায় থাকলেও সোমবার বিকালেই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এবারে দিল্লি সফর চলাকালীন সময় মোদীর সঙ্গে দেখাও করবেন তিনি। অন্যদিকে ত্রিপুরা(Tripura) ইস্যু নিয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন রাষ্ট্রপতির দরবারেও। সোমবারই দিল্লিতে(Delhi) রয়েছে তৃণমূলের সংসদীয় মিটিং। কিন্তু তার আগে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির পর এবার ত্রিপুরা ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর(Home Minister Amit Shah) কাছে গেল ঘাসফুল শিবির।

তৃণমূল কংগ্রেসের (tmc) ১৬ জন সাংসদ সদস্যের প্রতিনিধি দল এদিন দুপুরের মধ্যেই পৌঁছে যান দিল্লিতে। আর তারপরেই ত্রিপুরার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার আবেদন করেন। রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করতে চান। তবে তৃণমূল সাংসদরা দেখা করার জন্য সময় চাইলেও সময় দিলেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিকে এরপরেই বিক্ষোভের রাস্তায় নামেন একের পর এক তৃণমূল সাংসদ। চাঁচাছোলা ভাষায় টুইট করতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েনকে।

আরও পড়ুন- “সায়নী গ্রেফতার হলে মোদী নয় কেন”, ত্রিপুরায় পৌঁছেই কেন এমন বললেন অভিষেক

কিন্তু সাক্ষাতের সময় না দেওয়ায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। এরপরেই নর্থ ব্লকের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে দেন তৃণমূল সাংসদদেরা। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, ত্রিপুরায় তৃণমূলের ওপর হামলার ঘটনায় সরাসরি মদত রয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। এ জন্যই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের প্রতিনিধি দলকে সময় দেননি। অন্যদিকে রবিবার সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির পর থেকেই দফায় দফায় বিজেপি শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে থাকেন তৃণমূলের তাবড় তাবড় নেতারা। তাদের অভিযোগ, ময়দানের লড়াইয়ে না পেরে প্রশাসনকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের উপর হামলা চালাচ্ছে বিপ্লব দেবের লোকজন। আর গোটা ঘটনায় প্রচ্ছন্ন মদত দিয়ে চলেছে মোদী ব্রিগেড।

আরও পড়ুন- ত্রিপুরা নিয়ে বিজেপির উপর চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল, রাষ্ট্রপতির কাছে ‘নালিশ’ করতে পারেন মমতা

এদিকে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় গিয়ে নিজ রণকৌশল ঠিক করে ফেলেছেন অভিষেক। আর তাতেই চাপ বেড়েছে পদ্ম শিবিরের উপর। অন্যদিকে বিকালে মমমতা দিল্লিতে পৌঁছানোর পর পরিস্থিতি কোনদিকে বাঁক নেয় এখন সেটাই দেখার। এমনকী ত্রিপুরা ইস্যু যদি রাষ্ট্রপতির দরবার পর্যন্ত যায় তবে যে মোদীর অস্বস্তি আরও বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।