সংক্ষিপ্ত
- দেশের একাধিক এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে
- দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে
- এলাকা পরিদর্শনে কর্ণাটকের পথে অমিত শাহ
- ঘুরে দেখবেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা
দেশের যে যে জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে তার মধ্যে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল সবথেকে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। শনিবার কর্নাটক সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, সেখানকার ১৭টি জেলার ৮০টি তালুক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পাশাপাশি বন্যার কারণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৬ জনের। প্রায় কয়েক হাজার মানুষ বন্যার কারণে ঘরছাড়া।
শনিবার পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে বন্যার কারণে কর্ণাটকের যে যে তালুক ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলি হল- বেলাগাভি, বগালকোট, রায়চুর, কালাবুরাগী, ইয়াদগীর, বিজয়পুরা, গাদাগ, হাভেরি, ধরওয়াদ, শিবমোগগা, চিকমগলুরু, কোডাগু, দক্ষিণ কন্নড়, উদুপি, উত্তরা কন্নড় ও মাইসুরু জেলা।
সরকারের তরফে খবর, গত এক সপ্তাহে বন্যার কারণে প্রাণ গিয়েছে ২৬ জনের। সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে রবিবার কর্ণাটক যাচ্ছেন অমিত শাহ। বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কর্ণাটকের বেলাগাভি জেলা পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছেন গত ৪৫ বছরে এমন বিরাট বিপর্যয় কখনও হয়নি।
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুসারে, ভূমিধসের জেরে কর্নাটকের সকলেশপুর এবং সুব্র্যমহ্ম স্টেশনের মাঝে ধস নেমে পথ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন কর্নাটকের বন্যা বিধ্বস্ত অঞ্চলের সাহায্যের জন্য যেন ত্রাণ সাহায্য করেন। সাংবাদিকদের ইয়েদুরাপ্পা আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি, কেন্দ্রের তরফে এখনও পর্যন্ত তিন হাজার কোটি টাকা অনুদান পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণও এদিন কর্ণাটকের বন্যা-বিধ্বস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করে এসেছেন।