সংক্ষিপ্ত
- বিয়ের পরপরই বরকে ছেড়ে চলে এসেছিলেন বউ
- তারপর থেকে বউকে ফেরাতে বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বর
- এবার বউয়ের সঙ্গে কথা বলতে শ্বশুরবাড়ির গ্রামে মোবাইল টাওয়ারে চড়ে বসলেন বর
- তাঁকে নামানোর বিবিন্ন চেষ্টা করছে পুলিশ
বিয়ের পর থেকেই বর-বউয়ের বনিবনা নেই। কয়েক মাসের মধ্যেই বাপের বাড়ি
ফিরে এসেছিল বউ। কিন্তু, বউ ছাড়া বর যেন একেবারে মণিহারা ফনি। কিন্তু আদানিং বউউ আর ফোনেও কথা বলতে চাইছিল না। শেষে মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়ির পাড়ায় গিয়ে একেবারে একটি মোবাইল টাওয়ারে চড়ে বসলেন বর।
ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে মাস দুই আগে নমলা চান্দুর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বিজয়লক্ষ্মীর। কিন্তু দুজনের মধ্যে একেবারেই বনিবনা হয়নি। আন্নামভোতলাভারি পাল্লি গ্রামে বাপের বাড়ি ফিরে আসেন বিজয়লক্ষ্মী। তারপর থেকে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে নমলা চান্দু।
গত কয়েকদিন চান্দুর ফোনও ধরেনি বিজয়লক্ষ্মী। এরপরই এদিন সকালে আন্নামভোতলাভারি পাল্লি গ্রামে এসে একটি মোবাইল টাওয়ারে উঠে বসেন চান্দু। সেখান থেকেই প্রথমে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার দাবি জানান তিনি। স্ত্রী সেখানে এসে তাঁকে নেমে আসতে বলেন। কিন্তু, তাঁকে চান্দু জানান, শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে বিজয়লক্ষ্মীকে তাঁর সঙ্গে ফিরে যেতে হবে। নাহলে তিনি মোবাইল টাওয়ার থেকে নামবেন না।
পুলিশ জানিয়েছে, এর আগেও নানাভাবে বিজয়লক্ষ্মীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছএন চান্দু। বেশ কয়েকবার আত্মহত্যা করার চেষ্টাও করেছেন। অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন, হাতের শিড়া কেটেছেন, কীটনাশক খেয়েছেন, রেল লাইনে মাতা দেওয়ার চেষ্টাও করেচিলেন। কাজেই বিষটি একেবারেই হাল্কাভাবে দেখছে না প্রশাসন।
এরমধ্যে স্থানীয় প্রাচুর থানায় চন্দুর বিরুদ্ধে ৪৮৮-এর ক ধারায় মামলা রুজু করেছেন বিজয়লক্ষ্মী। চন্দুর পরিবারও বিজয়লক্ষ্মীর বিরুদ্ধে নল্লাপড়ু থানায় তফশিলিজাতি উপজাতি সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন বিজয়লক্ষ্মীর বিরুদ্ধে।
এই অবস্থায় চন্দুকে যেভাবেই হোক মোবাইল টাওয়ার থেকে নামাতে চেষ্টা করছে পুলিশ। প্রসাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চন্দু নেমে আসলেই অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা রুজু করবে পুলিশ।