সংক্ষিপ্ত
কয়লাপাচারকাণ্ডে বড়সড় মোড়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়াণা জারি করল পাতিয়ালা আদালত।
কয়লাপাচারকাণ্ডে বড়সড় মোড়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়াণা জারি করল পাতিয়ালা আদালত। কয়লা পাচারকাণ্ডেই এই পরোয়াণা জারি করেছে আদালত। উল্লেখ্য কয়লাপাচারকাণ্ডে বহুদিন ধরেই সারা দেশব্যাপী সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। আর এবার দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা কয়লা পাচার মামলায় কার্যত চাঞ্চল্যকর মোড়।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় এবং তার স্ত্রী রুজিরা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের উপর কয়লাপাচারকাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল অনেক আগেই। এরপর একের পর এক কেন্দ্রীয় সংস্থার তলব এসেছে পশ্চিমবঙ্গের ডায়মণ্ডহারবারের সাংসদ তথা বন্দ্য়োপাধ্যায় পরিবারে। যদিও অভিষেক কেন্দ্রীয় সংস্থার সদর দফতরে হাজিরা দিলেও ভিন রাজ্যে যেতে নারাজ ছিলেন রুজিরা। প্রথম থেকেই' প্রমাণ করে দেখাক, ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলতে রাজি', হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের আপন ভাইপো তথা তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। তবে এবার নিজের ক্ষেত্রে না হলেও, পার পেলেন না অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা। তবে শুধু অভিষেক-রুজিরা নয়, নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের যুবরাজের শ্যালিকারও। আর এবার সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়াণা জারি করল পাতিয়ালা আদালত।
আরও পড়ুন, 'যাবজ্জীবন মানে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কারাবাস', খুনের মামলায় স্পষ্ট করল এলাহবাদ হাইকোর্ট
প্রসঙ্গত, গতবছরই কয়লাকাণ্ড নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সমনের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের আবেদন, ইডির তলবের উপর স্থগিতাদেশ দিক আদালত। তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের নামে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হেনস্থা করা হচ্ছে তাঁদের। কয়লাকাণ্ডের তদন্তের প্রেক্ষিতে আগেই ইডি-কে চিঠি দিয়েছিলেন রুজিরা। দিল্লিতে ডেকে পাঠানোর পরিবর্তে কলকাতায় এসে যাতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তা চিঠিতে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। চিঠিতে তিনি জানিয়েছিলেন, 'বাড়িতে ২টি সন্তান রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে দিল্লি যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। তাই কলকাতার বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।'
একুশ সালের ৬ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজির হয়েছিলেন অভিষেক। তাঁকে প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তার দুদিন পরে, ৮ সেপ্টেম্বর ফের অভিষেককে ডেকে পাঠায় ইডি। যদিও অভিষেক বলেন, এত কম সময়ে সমস্ত নথি ও তথ্য নিয়ে তাঁর পক্ষে হাজির হওয়া সম্ভব নয়। তারপর ১১ সেপ্টেম্বর তাঁকে ফের সমন পাঠিয়ে ২১ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইডির অফিসে হাজির হতে বলা হয়। তারপরই সমনের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন অভিষেক ও রুজিরা। যদিও এবার শুধুই হাজিরাতেই সন্তুষ্ট নয় এই মামলায় তদন্তকারীর দল। 'হাজতবাস' হওয়ার ভবিষ্যতবানী অনেক আগেই দেগে বসে রয়েছে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব