Mehul Choksi: ভারতের যে ব্যবসায়ীরা ঋণের অর্থ না মিটিয়ে বিদেশে গিয়ে লুকিয়ে আছেন, তাঁদের অন্যতম মেহুল চোকসি। তবে এবার হয়তো আর এই ব্যবসায়ীর পক্ষে বিদেশে থাকা সম্ভব হবে না। তাঁকে দেশে ফেরানো হতে পারে।
KNOW
Mehul Choksi's extradition: বেলজিয়ামের আদালতেও (Belgian court) রেহাই পেলেন না পলাতক ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দিয়েছে অ্যান্টওয়াপের (Antwerp) আদালত। বেলজিয়ামের পুলিশ (Belgian Police) চলতি বছরের গোড়ায় চোকসিকে গ্রেফতার করে কোনও ভুল করেনি বলেও জানিয়েছে আদালত। তবে আদালত এ-ও বলেছে, ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদন করতে পারবেন চোকসি। উচ্চ আদালতেও যদি তাঁর আর্জি খারিজ হয়ে যায়, তাহলে তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণে আর বাধা থাকবে না। তবে উচ্চ আদালত যদি চোকসির পক্ষে রায় দেয়, তাহলে প্রত্যর্পণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হবে। সেক্ষেত্রে ভারতের পক্ষ থেকে ফের আবেদন করতে হবে। ফলে বেলজিয়ামের আদালত চোকসির প্রত্যর্পণের পক্ষে রায় দিলেও, এই পলাতক হীরে ব্যবসায়ীকে এখনই দেশে ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না।
চোকসির প্রত্যর্পণের প্রথম ধাপ
চলতি বছরের ১১ এপ্রিল চোকসিকে গ্রেফতার করে অ্যান্টওয়াপ পুলিশ (Antwerp Police)। এই পলাতক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভারতের পক্ষ থেকে বেলজিয়াম সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছিল। সেই অনুরোধের ভিত্তিতেই চোকসিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বেলজিয়ামের কারাগারেই আছেন চোকসি। তিনি একাধিকবার জামিনের আর্জি জানালেও, সেই আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। এবার আদালত গ্রেফতারিকে বৈধ বলে রায় দেওয়ায় আপাতত জেলেই থাকতে হচ্ছে চোকসিকে। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বেলজিয়ামের আদালতের রায় এই পলাতক ব্যবসায়ীর প্রত্যর্পণের প্রথম ধাপ।
ভারতে চোকসির বিরুদ্ধে মামলা
ভারতে চোকসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির (Indian Penal Code) ১২০ বি ধারায় অপরাধমূলক চক্রান্ত, ২০১ ধারায় তথ্য লোপাট বা মিথ্যা তথ্য দেওয়া, ৪০৯ ধারায় বিশ্বাসভঙ্গ, ৪২০ ধারায় প্রতারণা, ৪৭৭ এ ধারায় জাল তথ্য পেশ করা এবং দুর্নীতি দমন আইনের ৭ নম্বর ধারায় ঘুষ দেওয়া ও ১৩ নম্বর ধারায় অপরাধমূলক অসদাচরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


