সংক্ষিপ্ত

হুঙ্কার ছাড়লেন ভারতীয় সেনা প্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা যেন ভুলেও চিন না করে।

রবিবার পূর্ব লাদাখ সেক্টরের সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ভারত ও চিন (India-China) দুই দেশের সেনাবাহিনীর কর্তারা আলোচনায় (13th round of talks) বসতে চলেছে। তার আগে হুঙ্কার ছাড়লেন ভারতীয় সেনা প্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে (Army Chief General MM Naravane)। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা যেন ভুলেও চিন না করে। চিনকে(China) জবাব দিতে সবসময় তৈরি ভারতীয় সেনা। ভারতীয় সেনা (Indian Army) সীমান্তে(Line of Actual Control) প্রতি মুহুর্তে সতর্ক নজরদারি চালাচ্ছে। কোনও রকম দখলদারি মনোভাব বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন সেনা প্রধান। 

এদিকে, রবিবার চুশুলে ১৩তম ভারত চিন বৈঠকটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতের লাদাখ কর্পস কমান্ডার ও চিনের দক্ষিণ জিনজিয়াং সামরিক জেলা কমান্ডার থাকবেন আলোচনার টেবিলে। পূর্ব লাদাখ সেক্টরে ভারত ও চিনা সেনাদারে এখনও কয়েকটি অঞ্চল নিয়ে সমস্যা রয়েছে। সেই স্থানগুলির সমস্যা সমাধানেই আলোচনা হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। 

সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে বলেছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না। শনিবার নয়াদিল্লিতে এক কনক্লেভে বক্তৃতা করতে গিয়ে নারাভানে স্বীকার করেন যে এলএসি-তে চিনা সেনার উপস্থিতি উদ্বেগের বিষয়, কিন্তু তিনি আরও বলেন যে 'পিএলএ যদি সেখানে থাকে, আমরাও থাকব'।

এর আগে তিনি বলেছিলেন যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত তার এলাকায় সেনা মোতায়েন রেখেছে। চিনা সেনা ইচ্ছাকৃতভাবে এলএসিতে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করতে চাইছে। ভারত সতর্ক রয়েছে। কোনও রকম উস্কানিমূলক আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। সংবাদসংস্থা এএনআইকে জেনারেল নারাভানে জানান, গত ছমাস ধরে ভারত চিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। ভারতের তরফ থেকে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। আশা করা যায় অপর পক্ষ সেই আলোচনার পথ বন্ধ করে দেবে না। 

এদিকে, পূর্ব লাদাখ সেক্টরে এখনও পর্যন্ত সমস্যা রয়েছে দক্ষিণ ডেমচোকের দোপসাং, বালড, চারডিং নুল্লা জংশন এলাকায়। হট স্প্রিং এলাকা থেকেই দুই দেশের সেনা প্রত্যাহার নিয়েও আলোচনা হতে পারে। পূর্ব লাদাখ এলাকায় ভারত-চিন দুই দেশের মধ্যে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য হটস্প্রিং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বলেও মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। 

আগেও এই এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) ৫০ জন সদস্য এই এলাকায় ১৫ নম্বর পয়েন্টে টহল দিচ্ছে। পাল্টা এই এলাকা ভারতীয় সেনারাই অবস্থান করছে। কার্যত দুই দেশের সেনা জওয়ানরা মুখোমুখি অবস্থান করছে।