সংক্ষিপ্ত


তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) কুনুরে (Kunur) জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে (Gen Bipin Rawat) নিয়ে ভেঙে পড়ল ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) একটি হেলিকপ্টার। শুনুন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান।

তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) কুন্নুরে (Kunur) বুধবার বায়ুসেনার (Indian Air Force) একটি এমআই সিরিজের হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছে। এই কপ্টারে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল বিপিন রাওয়াত (Gen Bipin Rawat) এবং তাঁর সামরিক সহকারী ও পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর জেনারেল বিপিন রাওয়াতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে, স্থানীয়  এক হাসপাতালে তিনি এখনও চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

কিন্তু কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? তদন্তের জন্য কোর্ট অব ইনকোয়ারির নির্দেশ দিয়েছে সামরিক বাহিনী। তবে দুর্ঘটনার মুহূর্তের কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা। যে ব্যক্তি প্রথম ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছিলেন, তিনি জানিয়েছেন, এদিন দুপুর ১২টা ২০ মিনিট নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি বাড়িতেই ছিলেন। আচমকা, একটা প্রচন্ড জোরে শব্দ হয়। সেটা শুনেই তিনি বাইরে ছুটে আসেন। দেখেন, হেলিকপ্টারটি একটি বড় গাছে ধাক্কা খেয়েছে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কপ্টারটিতে আগুন ধরে যায়। 

এরপর কপ্টারটি আরও একটি গাছে ধাক্কা মারে। তারপর পাহাড়ের ঢালে প্রচন্ড জোরে আছড়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে একটা বড় আগুনের গোলা উপরে উঠে যায়, সেই সঙ্গে ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল ঘটনাস্থল। ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, হেলিকপ্টারটি নিচে পড়ার সময়, সেটি থেকে বেশ কয়েকজনকে ছিটকে পড়তে দেখেছিলেন তিনি। এরপর, তিনিই তাঁর প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন। সকলে মিলে প্রাথমিকভাবে বালতি দিয়ে জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তাঁরাই স্থানীয় সামরিক অফিসার এবং দমকল বিভাগকে খবর দিয়েছিলেন। 

দুর্ঘটনাগ্রস্ত হেলিকপ্টারটিতে মোট ১৪ জন লোক ছিলেন। জেলারেল রাওয়াত ছাড়াও ছিলেন তাঁর স্ত্রী মধু রাওয়াত, ব্রিগেডিয়ার এলএস লিডার, লেফ্টেন্যান্ট কর্নেল হরজিন্দর সিং, নায়েক গুরুসেবক সিংহ, নায়েক জিতেন্দ্র কুমার, ল্যান্স নায়েক বিবেক কুমার, ল্যান্স নায়েক বিপীন সাই তেজা এবং হাবিলদার সতপাল। 

ওয়েলিংটন ক্যান্টনমেন্টে একটি অনুষ্ঠানের অংশ গ্রহণ করতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেখানে লেকচার দেওয়ার কথা ছিল জেনারেল রাওয়াতের। সূত্রের দাবি এখনও পর্যন্ত তিনজন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর। সূত্রের দাবি তাদের শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। 

দুর্ঘটনাগ্রস্ত এমআই সিরিজে হেলিকপ্টারটি ছিল দুই ইঞ্জিনের। সামরিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ধরণের কপ্টারগুলি, একটি ইঞ্জিন খারাপ হয়ে গেলেও, আরেকটি ইঞ্জিন দিয়ে উড়তে পারে। তবে সমস্যা হতে পারে, পাহাড়ের আবহাওয়ার। পাহাড়ি এলাকায় আবহাওয়া আচমকা বদলে যায়। কোনওভাবে কুয়াশা দৃশ্যমানতা কমিয়ে দিতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।