সংক্ষিপ্ত
মিছিল থেকে চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিংপিং-এর বিরুদ্ধেও স্লোগান তুলেছিলেন তাঁরা। মিছিলকারীরা জানিয়েছেন, শি জিংপিং যতই ষড়যন্ত্র করুন না কেন অরুণাচলপ্রদেশ কেড়ে নিতে পারবে না।
সম্প্রতি চিন অরুণাচলপ্রদেশের ১১টি স্থানের নাম বদল করেছে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে চিনের এই পদক্ষেপ তারা মানছে না। এবার চিন বিরোধী বিক্ষোভ আভিযান শুরু করেছে অরুণাচলপ্রদেশের স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার বিয়াও গ্রাম থেকে চাংচাং জেলার মিয়াও শহর পর্যন্ত মিছিল হয়। তিন কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে মিছিলে সামিল হয়েছিল প্রচুর মানু। প্ল্যাকার্ড, পোস্টার হাতে স্থানীয়দের মিছিলের মূল স্লোগানই ছিল, 'আমরা ভারতের পাশে আছি।'
মিছিল থেকে চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিংপিং-এর বিরুদ্ধেও স্লোগান তুলেছিলেন তাঁরা। মিছিলকারীরা জানিয়েছেন, শি জিংপিং যতই ষড়যন্ত্র করুন না কেন অরুণাচলপ্রদেশ কেড়ে নিতে পারবে না। অরুণচাল ভারতের সঙ্গে যেমন ছিল তেমনই থাকবে। তারা জানিয়েছে, অরুণাচল কেড়ে নেওয়া চিনের ষড়যন্ত্র কোনও দিনও সফল হবে না। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা অরুণাচলপ্রদেশের নাম পরিবর্তন করে জাংনান করারও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি চিনের এই পদক্ষেপেওই তীব্র নিন্দা করেছে।
স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা বলেছে, তিব্বতে বসবাসকারী মানুষদের অবস্থা সম্পর্কে এলাকার মানুষ অবগত। চিনা শাসকরা তিব্বতের মানুষদের ওপর প্রচণ্ড নির্যাতন করে বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। তারা বলেছে, কোনও মূল্যেই অরুণাচলপ্রদেশের অবস্থার পরিবর্তন তারা মেনে নেবে না। তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছে অরুণাচলপ্রদেশ চিনের অংশ নয়।
মিছিলে স্থানীয় বাসিন্দারা নয়াদিল্লির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দিয়েছেন। মিছিলে জাতীয় পতাকার সঙ্গে স্থানীয় ধর্মীয় পতাকাও উড়েয়েছিলেন তাঁরা।
সম্প্রতি বেজিং অরুণাচলপ্রদেশের ১১টি স্থানের নাম পরিবর্তন করেছে। যদিও এটাই প্রথম নয়, এর আগে ২০২১ সালে একই রাজ্যের ১৫টি স্থান ও ২০১৭ সালে ৬টি স্থানের নাম পরিবর্তন করেছিল চিন। চিনা অক্ষর আর তিব্বতিভাষায় নাম লেখা হয়েছিল।একটি বিবৃতি জারি করে চিনের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে তিব্বতের কিছু অংশের নাম তারা পরিবর্তন করেছে। যদিও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রক চিনের এই দাবি পুরপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে। ১১টি স্থানের মধ্যে রয়েছে, দুটি সমতল এলাকা, দুটি আবাসিক এলাকা, পাঁচটি পর্বত শৃঙ্গ, দুটি নদী। চিনের গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্ট তেমনই বলা হয়েছে। এটি অরুণাচলের বিষয়ে তৃতীয় নাম পরিবর্তনের সূচি।
চিনে এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত। মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি অরুণাচল প্রদেশের ১১টি স্থানের নামকরণ নিয়ে চিনের নীতি পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছে। তিনি বলেথেন, 'আমরা এই ধরনের রিপোর্ট দেখেছি। এই প্রথমবার নয়, যে চিন এই চেষ্টা করছে। ভারত সরকার চিনের এই উদ্যোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।' তিনি আরও বলেথেন, অরুণাচলপ্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, অবিচ্ছেদ্য অংশ। আগে যেমন ছিল এখনও তেমনই রয়েছে। চিনের নয়া নামকরণের উদ্যোগ এই বাস্তবতাকে পরিবর্তন করে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।