সংক্ষিপ্ত

তিন দিন পরই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন।

ঠিক আগে ফের বিজেপিকে অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে ফেললেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

সরাসরি অমিত শাহ-কে চ্যালেঞ্জ জানালেন তিনি।

বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত বেঁধে দিলেন সময়সীমা।

 

ঘাড়ের উপর এসে গিয়েছে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক তিন দিন আগে ফের বিজেপিকে তাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করার জন্য চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরজন্য তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-কে বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছেন। এরমধ্যে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম না জানাতে পারলে তিনি আরও একটি সাংবাদিক সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছেন কেজরিওয়াল।

এদিন তিনি দাবি করেন, দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম না জানিয়ে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লির জনগণের কাছ থেকে 'ব্ল্যাঙ্ক চেক' চাইছেন। অমিত শাহ বলছেন যে দিল্লির জনগণের সমর্থন পেলে তবেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম জানাবেন। কিন্তু দিল্লির জনগণ এখনই তার নাম জানতে চান বলে দাবি করেন কেজরিওয়াল। কারণ বিজেপিকে ভোট দেওয়ার পর যদি অমিত শাহ কোনও অশিক্ষিত ও অযোগ্য ব্যক্তিকে মুখ্যমন্ত্রী করেন, তাহলে সেটা দিল্লির জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।

বস্তুত কেজরিওয়াল-এর সমানে সমানে লড়ার মতো নাম দিল্লি বিজেপি-তে এই মুহূর্তে নেই। তাই এই নির্বাচনে বিজেপি কেন্দ্রে দলের সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে ভোট চাইছে। বিজেপির এই দুর্বলতা বুঝে একেবারে প্রচারের প্রথম পর্ব থেকেই আম আদমি পার্টি, অমিত শাহ এবং বিজেপির উপর মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম জানানোর জন্য চাপ দিয়ে চলেছে। তাদের প্রচারের মূল সুরটাই হল, 'অরবিন্দ কেজরিওয়াল নাহলে কে'?

রাজধানীতে কান পাতলে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে বেশ কয়েকটি নাম শোনা যাচ্ছে। নতুন বছরের শুরুতেই এই বি।ষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উপহাস করেছিলেন কেজরিওয়াল। মনোজ তিওয়ারি, গৌতম গম্ভীর, বিজয় গোয়েল, হরদীপ সিং পুরি, হর্ষ বর্ধন, বিজেন্দ্র গুপ্ত এবং পরবেশ সাহেব সিং-এর ছবিসহ একটি বিশাল ব্যানার পোস্ট করে তিনি লিখেছিলেন, দিল্লিতে বিজেপির সাতজন মুখ্যমমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। প্রচারের একেবারে শেষ লগ্নে এসেও সেই 'কে?' নিয়েই খোঁচা দিল তারা।

তার আগে আপ ২৮ দফা প্রতিশ্রুতির একটি ইস্তাহার প্রকাশ করে। সেখানে উচ্চমানের শিক্ষা, বিশুদ্ধ জল এবং ২৪ ঘন্টা বিদ্যুতের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। স্কুলে স্কুলে দেশপ্রেমের পাঠ্যক্রম এবং স্পোকেন ইংলিশ-এর ক্লাস চালু করা হবে। এছাড়া, রেশন বিতরণ, ১০ লক্ষ প্রবীণ নাগরিককে বিনামূল্যে তীর্থযাত্রা এবং কর্মরত অবস্থায় কোনও সাফাইকর্মী মারা গেলে তাঁর আত্মীয়কে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে ২৪ ঘন্টা বাজার খোলা রাখার পাইলট প্রকল্পও করা হবে। সেই সঙ্গে দিল্লিতে জন লোকপাল বিল পাসের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হবে। তাদের দাবি এটা ইস্তাহার নয়, '২৮-দফার গ্যারান্টি কার্ড'। উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার মতে তাদের খসড়া ইস্তেহারের পিছনে যুবক, মহিলা ও সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়ন ভাবনা রয়েছে।