বাড়ির অমতে বিয়ে করতে চেয়েছিল দুজনে তাই তাদের অপহরণ করা হয় দুজনকে তুলে নিয়ে গিয়ে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয় তারা মরে গিয়েছে ভেবে মাঠের মধ্য়ে ফেলে দিয়ে আসা হয়

সম্মান রক্ষার্থে খুন নয় ঠিকইতবে তার চেয়ে কোনও অংশে কম ভয়ঙ্কর নয় বাড়ির অমতে বিয়ে করতে চাওয়ায় দুজনকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে রীতিমতো ইলেকট্রিক শক দেওয়া শুরু হলচলতেই থাকল, যতক্ষণ-না পর্যন্ত তারা জ্ঞান হারিয়ে ফেললতারপর যখন মনে করা হল দুজনে মারা গিয়েছে, তখন তাদের ছুড়ে ফেলে দেওয়া হল মাঠে!

উত্তরপ্রদেশের আত্রা বারাউলি গ্রামের এই ঘটনায় স্থানীয়রা স্তম্ভিতসম্মান রক্ষার্থে খুন এদেশে জলভাত হয়ে গেলেও, এইভাবে অরহরণ করে নিয়ে গিয়ে ইলেকট্রিক শক দিয়ে অত্য়াচার করার ঘটনা কেউ মনে করতে পারছেন না

জানা গিয়েছে, দুজনেরই বয়স কুড়ির কোঠায়মেয়েটির নাম জানা যায়নিছেলেটির নাম দীপকবয়স ২৩ বছরদুজনকে মেরে ফেলা হয়েছে এই ভেবে মেয়েটির বাড়ির লোক পুলিশে খবর দেয়তারপর তদন্ত শুরু হয়জানা যায়, দুজনকে তুলে নিয়ে গিয়ে ইলেকট্রিক শক দেওয়া শুরু হয়যতক্ষণ-না পর্যন্ত দুজনে অজ্ঞান হয়ে পড়ে, ততক্ষণ পর্যন্ত শক দেওয়া চলতে থাকে

জেলার পুলিশ সুপার শ্লোক কুমার জানান, দুজনের মধ্য়ে সম্পর্ক ছিলওঁরা দুজন দুজনের বিয়ে করতে চেয়েছিলেনতাতে একেবারেই মত ছিল না মেয়েটির পরিবারেরএই পরিস্থিতিতে, জানুয়ারি ২৯ তারিখে দুজনকে অপহরণ করা হয়ওঁদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মাহোবা থেকেতুলে নিয়ে যায়, শোধান, ধর্মেন্দ্র ও লক্ষ্মণ নামে তিনজনওই তিনজনই মেয়েটির আত্মীয়সেখানে দুজনকে বারংবার ইলেকট্রিক শক দেওয়া হতে থাকেযতক্ষণ-না পর্যন্ত দুজনে অজ্ঞান হয়ে যান

দুজনেই মরে গিয়েছে, এই ভেবে তাঁদের ফেলে দেওয়া হয় একটি মাঠেসেখান থেকেই দুজনকে উদ্ধার করা হয়দেখা যায় দুজনের শরীরের নানা জায়গায় রয়েছে শক দেওয়ার চিহ্ন এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, "আমরা তদন্ত শুরু করেছি অভিযুক্তদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে"