সংক্ষিপ্ত

  • দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে
  • দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন রৈকর্ড গড়ছে
  • এরমধ্যেই সামনে এল ২টি মন ভাল করে দেওয়া খবর
  •  এক প্রবীনের সঙ্গে করোনা যুদ্ধ জিতল ৪ মাসের শিশুও

টিভি হোক বা সংবাদপত্র কিম্বা ডিজিট্যাল মিডিয়া, চারদিকেই এখন করেল করোনার খবর। প্রতিদিনই দেশে লাগামছাড়া ভাবে বাড়ছে সংক্রমণ। ব্রিটেনকে ছাপিয়ে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের দেশের তালিকায় চার নম্বরে ভারত। আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ৩ লক্ষের গণ্ডি। প্রাণ গিয়েছে ৮ হাজারের বেশি মানুষের। এইসব খরপ কেবল মনকে ভারাক্রান্ত করে দেয়। কপালে ফেলে চিন্তার ভাজ। তবে এরমাঝেও রয়েছে দুটি স্বস্তির খবর। একদিকে কোভিড ১৯ আক্রান্তদের মধ্যে বয়স্কদের মৃত্যুর হার যখন সবচেয়ে বেশি কখন মারণ ভাইরাসকে কুপোকাত করে সুস্থ হয়ে উঠলেন ৯৭ বছরের এক বৃদ্ধ। অন্যদিকে ১৮ দিন ভেন্টিলেশনে থেকে মায়ের নিরাপদ কোলে ফিরল ৪ মাসের একটি শিশু। সেই বৃদ্ধেরই এবার সুস্থ হওয়ার খবর জানাচ্ছে প্রশাসন। একেবারে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন তিনি। 

করোনা আতঙ্কে এখন ভুগছে গোটা বিশ্ব। এর মধ্যে সবচেয়ে আশঙ্কার, কোভিডে আক্রান্তদের মধ্যে বয়স্কদের মৃত্যুর হার সারা দুনিয়া  জুড়েই বেশি। এই পরিস্থিতিতেই করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠে আশার আলো যোগালেন ৯৭ বছরের এক বৃদ্ধ। তিনি দেশের অন্যতম বয়স্ক ব্যক্তি, যিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হলেন। গত ৩০ মে কোভিড ১৯ পজিটিভ আসার পর হাসপাতালে ভর্তি হন ৯৭ বছরের কৃষ্ণা মূর্তি। চেন্নাইয়ের কাভেরী হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। ৯৭ বছরের ওই বৃদ্ধই তামিলনাড়ু সবচেয়ে বয়স্ক করোনা বিজেতা। 

 

তবে কেবল ৯৭ বছরের বৃদ্ধ নয়, করোনা যুদ্ধে কামাল দেখিয়েছে ৪ মাসের এক শিশুও। গত ১৮ দিন ধরে ভেন্টিলেশনে চিকিৎসাধীন ছিল সে। অবশেষে রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হল শিশুটিকে।

তবে কী এসেই গেল দ্বিতীয় ওয়েভ, সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এবার ফের লকডাউনের পথে হাঁটল চিন

সব রেকর্ডকে পেছনে ফেলে দৈনিক আক্রান্ত সাড় ১১ হাজার, দেশে সংক্রমণ এবার ছাড়াল ৩ লক্ষের গণ্ডি

মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ১ লক্ষ, এবার বাংলাদেশ থেকে রেমডেসিভির আনাচ্ছেন উদ্ধব

গত মে মাসে অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলায় লক্ষ্মী নামে এক উপজাতি মহিলার শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরে কোভিড পরীক্ষায় ধরা পড়ে তাঁর ৪ মাসের শিশুটিও পজিটিভ।  গত ২৫ মে তাকে বিশাখাপত্তনমের ভিআইএমএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  ১৮ দিন ভেন্টিলেশনে রেখে চিকিৎসা চলে। অল্পদিন আগে চিকিৎসকরা ফের তার করোনা পরীক্ষা করেন। এবার ফল নেগেটিভ আসায় নিশ্চিন্তে মায়ের কোলে ফিরল ফুটফুটে শিশুটি। 

 

দেশে প্রতিদিনই সংক্রমণের হার বাড়তে থাকলেও সুস্থতার হার আশাব্যঞ্জক বলেই জানাচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বর্তমানে ভারতে সুস্থতার হার ৪৯,৪৭ শতাংশ। যা গোটা বিশ্বের তুলনায় অনেকটাই বেশি বলে দাবি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের।