সংক্ষিপ্ত
জিআইডিসি এলাকা সাধারণত শিল্পাঞ্চল বলেই পরিচিত। প্রিন্টিং কারখানাটির কাছেই একটি নর্দমাতে কিছু রাসায়নিক ফেলছিল এক ট্রাক ড্রাইভার। সেই সময়ই কারখানায়া আচমকা গ্যাস লিক হয়।
বৃহস্পতিবার সাত সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা গুজরাতে (Gujarat)। রাসায়নিক ভর্তি ট্যাঙ্কার (Chemical Tanker Leaks) লিক করে মৃত্যু হল কমপক্ষে ৬ জনের। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু (Death) হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও ২০ জন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে অসুস্থদের (Injured) নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে (Hospital)। সেখানেই চিকিৎসাধীন তাঁরা। এদিন ভোরে সুরাতের (Surat) সচিন জিডিআইসি (Sachin GIDC) এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
জিআইডিসি এলাকা সাধারণত শিল্পাঞ্চল বলেই পরিচিত। প্রিন্টিং কারখানাটির কাছেই একটি নর্দমাতে কিছু রাসায়নিক ফেলছিল এক ট্রাক ড্রাইভার। সেই সময়ই কারখানায়া আচমকা গ্যাস লিক হয়। এদিকে আশপাশে থাকা সাধারণ মানুষ যখন বিষয়টি বুঝতে পারেন ততক্ষণে অনেকটাই ছড়িয়ে পড়েছিল বিষাক্ত গ্যাস। আর সেই গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার পরই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কর্মীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৫ জনের। তারপর আরও একজন প্রাণ হারান বলে জানা গিয়েছে। অসুস্থ হয়েছেন আরও ২০ জন। তাঁরা সবাই শ্রমিক। তাঁদের সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যে ট্যাঙ্কার লিক হয়েছে, তাতে রাসায়নিক ভরা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত সেই স্থানে পৌঁছায় সুরাত পুলিশের কর্তারা। শুরু হয় উদ্ধার কাজ। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে অসুস্থদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সুরাতের সিভিল হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ওঙ্কার চৌধুরী জানান, অসুস্থ কর্মীদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে হাসপাতালে। বিষাক্ত গ্যাসেই সবাই অসুস্থ হন বলে জানান তিনি। দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাত আড়াইটে নাগাদ ওই ট্যাঙ্কার থেকে লুকিয়ে নালায় ফেলা হচ্ছিল রাসায়নিক। সেই বিষাক্ত গ্যাস আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পাশেই একটি কারখানায় কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। আর সেই গ্যাস সেখানে প্রবেশ করার পরই শ্রমিকরা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু হয়েছে।
অন্যদিকে, গ্যাস লিক করার ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের নাগদায়। বুধবার বিকেলে ট্যাঙ্ক থেকে সালফার ট্রাই অক্সাউড লিক হয়। এরপরেই প্রায় দেড় কিমি ব্যাসার্ধে সাধারণ মানুষের চোখে এবং গলায় চুলকানি শুরু হয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় কাউকেই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়নি। পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়। তবে কারখানা থেকে গ্যাস লিকের পরেই পাশেই সাধারণ মানুষের বাসস্থানে সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করে প্রশাসন। মাস্ক জলে ঢুবিয়ে পরতে অনুরোধ করা হয়। গ্রাসিম ইন্ডাস্ট্রিজের প্ল্যান্ট থেকে এই গ্যাস লিক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।