সংক্ষিপ্ত
সুরজিৎ সিং ফুল-এর বয়ানে অবশ্য বিজেপি এবং তাদের সহযোগীদলগুলি এখন আরও বেশি ক্ষিপ্ত। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে গিয়েছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও পাল্টা হুমকি দিয়ে রেখেছেন। রাহুল গান্ধীর মতো কংগ্রেস নেতারা বিজেপি শাসিত রাজ্যে গেলে এর ফল ভালো করে টের পাবেন বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মোদীর যাত্রাপথের তথ্য দিয়েছিল পুলিশ (PM Modi's Security Breach)। কিন্তু, পুলিশ (Punjab Police) মিথ্যে বলেছিল বলেই প্রথমে মনে হয়েছিল। জাতীয় টেলিভিশন নিউজ চ্যানেল টাইমস নাও-কে (Television News Channel Times Now) দেওয়া একান্ত অডিও সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করেছেন এক কৃষাণ নেতা। টাইমস নাও-এর দাবি তাঁদের প্রতিনিধি ভবতোষ সিং-এর সঙ্গে কথা বলা এই কৃষাণ নেতার নাম সুরজিৎ সিং ফুল (Bharatiya Krishan Union or BKU Leader Surjit Singh Phul)। যিনি ভারতীয় কৃষাণ ইউনিয়ন বা সংক্ষেপে বিকেইউ (ক্রান্তিকারী)-র (Bharatiya Krishan Union or BKU-Krantikari) সর্বোচ্চ নেতা। আর এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে আসার পর থেকে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নির (Punjab CM Charnjit Singh Channi)বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা তরুণ চুঘ (BJP Leader Tarun Chugh)।
বুধবার রাতে পোস্ট করা একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, 'বিজেপি যা বলছিল অবশেষে তা প্রমাণ হয়ে গেল। বিকেইউ নেতা সুরজিৎ সিং ফুল-এর বয়ানে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে তাঁদের লোকেরা প্রধানমন্ত্রী মোদীর কনভয়ের সামনে অবরোধ করেছিলেন এবং পঞ্জাব পুলিশ তাদেরকে তথ্য দিয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী সড়কপথে হোসিনিওয়ালায় সমাবেশ স্থলে যাচ্ছেন। এখন সমস্ত প্রমাণ এক্কেবারে সামনে, এবার কি তাহলে চন্নি সরকার তাঁর নীরবতা ভঙ্গ করবেন।'
টাইমস নাও-এর যে লাইভ-শো চলাকালীন অডিও ক্লিপ শোনানো হয়েছে এবং দাবি করা হয়েছে যে সুরজিৎ সিং ফুল-এর গলা বলে, সেই শো-এর খানিকটা অংশ নিজের টুইটার পোস্টের সঙ্গে জুড়েও দিয়েছেন তরুণ চুঘ। প্রধানমন্ত্রী মোদীর কনভয়ের সামনে বিক্ষোভ-এর ঘটনাকে নজিরবিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি এবং তাদের সহযোগী রাজনৈতিক দলগুলি। এই ঘটনাকে গণতন্ত্রের উপরে আঘাত বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন। দেশের সাংবিধানিক আইনসভার সর্বোচ্চ জনপ্রতিনিধি-র রাস্তা যেভাবে আটকানো হয়েছে এবং তাঁকে সফর বাতিল করে ফিরে আসতে হয়েছে তা অতি লজ্জার বলেও মন্তব্য করেছে বহু বিজেপি নেতা। এর পিছনে কংগ্রেস-এর গভীর ষড়যন্ত্র আছে বলেও মন্তব্য করেছেন। এমনকী প্রধানমন্ত্রী মোদীর মতো একজন ভিভিআইপি-র কনভয়ের রুটের তথ্য কীভাবে অবরোধকারীদের কাছে গেল তা নিয়েও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নির সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। পুলিশ মহলের একাংশ এর জন্য পঞ্জাবের ডিজিপি-র ব্যর্থতাকেও দায়ী করেছেন।
ভারতীয় কৃষাণ ইউনিয়নের সর্বোচ্চ নেতা সুরজিৎ সিং ফুল- অবশ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আগেই জানিয়েছিলেন যে হোসিনিওয়ালা-র প্রধানমন্ত্রী সভাস্থলে যাওয়ার জন্য মূল ফ্লাইওভারের মুখে তাঁরা বিক্ষোভের কর্মসূচি নিয়েছিলেন। কারণ এই রাস্তা দিয়ে বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের প্রধানমন্ত্রী সভাস্থলে যাওয়ার ছিল। কিন্তু, এই রাস্তায় যে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় চলে আসবে তা তাঁদের জানা ছিল না। পুলিশ বিক্ষোভ তোলার জন্য যখন তাদের অনুরোধ করছিল সে সময় তারা জানতে পারেন যে প্রধানমন্ত্রী এই রাস্তা ধরে সভাস্থলে পৌঁছবেন। যদিও, পুলিশের কথা তাঁরা বিশ্বাস করেননি। কারণ তাঁরা জানতেন প্রধানমন্ত্রী ভাতিণ্ডা বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে সভাস্থলে যাবেন। সত্যি সত্যি যে প্রধানমন্ত্রী সড়কপথে চলে আসবেন তা তাঁরা আন্দাজ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন--
PM Modi security Breach: প্রধানমন্ত্রীর চলার পথে সুরক্ষার দায়িত্ব কার, কার ভুলে এটা হল
BJP Vs Congress: পাক সীমান্ত থেকে ১০ কিমি দূরেই মোদীর কনভয়, সুর চড়াল বিজেপি
Centre Vs Punjab: প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পঞ্জাব, সমালোচনা কেন্দ্রের
সুরজিৎ সিং ফুল-এর বয়ানে অবশ্য বিজেপি এবং তাদের সহযোগীদলগুলি এখন আরও বেশি ক্ষিপ্ত। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে গিয়েছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও পাল্টা হুমকি দিয়ে রেখেছেন। রাহুল গান্ধীর মতো কংগ্রেস নেতারা বিজেপি শাসিত রাজ্যে গেলে এর ফল ভালো করে টের পাবেন বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় পরিস্থিতিতে আরও রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি করেছেন কিছু কংগ্রেস নেতার বেহিসিবি আক্রমণাত্মক মন্তব্য। এই নেতারা তাঁদের টুইটার পোস্টে মোদীকে ট্যাগ করে লিখেছেন 'হাউ ইজ দ্য জোশ' ধরনের কমেন্ট।
"