সংক্ষিপ্ত
সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোদগান করেছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন বিজেপি নেতা আশিষ দাস। বুধবার খারিজ হয়ে যায় তাঁর বিধায়ক পদ। আর তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ত্রিপুরার বিধানসভার স্পিকার রতন চক্রবর্তী।
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় নেতাদের দল বদলের কাহিনি সম্পর্কে অবগত তেরো থেকে তিরাশি। সেই কমই এক দল বদলের গল্প ঘিরে তৈরি হচ্ছে আইনি জটিলতা। প্রসঙ্গত, সদ্য বিজেপি(BJP) ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগদান করেছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন বিজেপি নেতা আশিষ দাস (Ashis Das, Ex Leader Of BJP)। বুধবার খারিজ হয়ে যায় তাঁর বিধায়ক পদ। আর তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ত্রিপুরার বিধানসভার (Tripura Assembly)স্পিকার রতন চক্রবর্তী। প্রাক্তন বিজেপি নেতা আশিষ দাসের বিধায়ক পদ খারিজ ( করার জন্য তাঁর তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, তিনি নাকি স্পিকারের পদে থাকার যোগ্যই নন। সেই সঙ্গে এক প্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন এক চোখে যেমন জল দেখছেন তেমন অন্যচোখে রয়েছে তেজ। বিরোধী দল বিজপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন বিধায়ক আশিষ দাস। তারপর থেকে স্বাভাবিকভাবেই ত্রিপুরার তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচীতে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি লক্ষ্য করা যেত তাঁকে। কিন্তু তারপরই ত্রিপুরার বিধানসভার স্পিকার রতন চক্রবর্তী তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করে দেন (To Dismiss As MLA)।
নিজের অপমানের পাল্টা জবাব দিতে আইনের দ্বারস্থ হতে পারেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা আশিষ দাস। রাজভবন অভিযান কর্মসূচী প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ত্রিপুরার বিধানসভার স্পিকার রতন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া আশিষ দাস বলেন, তিনি তাঁর সঙ্গে যে দুর্ব্যবহার করেছেন তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তাঁর মতে যদি তিনি বিধায়ক হওয়ার যোগ্য না হন, তাহলে উনিও স্পিকার পদে থাকার যোগ্য় নন। এখানেই শেষ নয়, স্পিকার রতন চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, জলের মত জামা বদল করছেন অধ্যক্ষ। তৃণমূল নেতা তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একজন বিধায়ক দল ছেড়েছিলেন। তাঁর ক্ষেত্রে তো এই রকম কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নি। তাহলে তাঁর বিধায়ক পদ কেন খারিজ করে দেওয়া হল তার সদুত্তর চেয়েছেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন বিজেপি নেতা আশিষ দাস।
আরও পড়ুন-Manipur blast: মোদী সফরের পরেই আইইডি বিস্ফোরণ, শহিদ এক জওয়ান
আরও পড়ুন-BJP ত্যাগ নিয়ে কোন রাস্তায় শান্তনু ব্রিগেড, জরুরি বৈঠক শেষে কী বলছেন বিক্ষুব্ধ অসীম
প্রসঙ্গত, আশিষ দাস দীর্ঘদিন বিজেপি দলের সদস্য ছিলেন। আরএসএস ঘণিষ্ঠ হিসাবেও তিনি পরিচিত। উল্লেখ্য, বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনেরও বেশ কাছের মানুষ হিসাবেই পরিচিত তিনি। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে কলকাতার তৃণমূল ভবনে দেখা করেছিলেন আশিষ দাস। তখনই তিনি বলেছিলেন বিজেপির প্রতি তাঁর মোহভঙ্গের কথা। বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি নাকি অপরাধ করে ফেলেছেন, এমন ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন তিনি। তাই নিজের ভুল শুধরে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং ঘাসফুল শিবিরে নিজের নাম নথিভুক্ত করে ফেলেন।