সংক্ষিপ্ত
- অযোধ্যা মামলার গ্রহণযোগ্য সমাধান চাইছে সুপ্রিম কোর্ট
- মধ্যস্থতাকারী প্যানেলের কাজে সন্তুষ্ট তারা
- প্যানেলকে সমাধানে পৌঁছতে আরও সময় দেওয়া হল
রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ক মামলায় একটি সর্বজনগ্রাহ্য সমাধানে পৌঁছতে চাইছে সুপ্রিম কোর্ট। আর সেই কারণেই শুক্রবার প্রাক্তন বিচরপতি এফএমআই কলিফুল্লার নেতৃত্বে গঠিত মধ্যস্থতাকারী প্যানেলকে সমাধানে পৌঁছনোর জন্য ১৫ আগস্ট পর্যন্ত অতিরিক্ত সময় দিল আদালত। ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, মধ্য়স্থতাকারীরা সমাধানের পথে অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছেন। তাই তাদের আর একটু সময় দিতে আপত্তি নেই।
এদিন সর্বোচ্চ আদালত জানায় গত ৭ মে তারিখে মধ্যস্থতাকারীরা তাঁদের কাজের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সেই প্রতিবেদন দেখে আদালত মনে করেছে মধ্যস্থতাকারীরা খুব ভালো কাজ করছেন। একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছনোর বিষয়ে তাঁরা আশাবাদী। এমনিতেই এই মামলার পিছনে বছরের পর বছর কেটে গিয়েছে। তাই আর একটু সময় লাগলে তাতে ক্ষতি নেই।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের উকিলদের নধ্যে একজন অবশ্য আদালতের এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানান। তাঁর দাবি ছিল আদালত মধ্যস্থতাকারী প্যানেলকে আট সপ্তাহ সময দিয়েছিল, ইতিমধ্যেই নয় সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে। তাই আর সময় দেওয়ার যৌক্তিকতা নেই। কিন্তু, তাঁর আপত্তি গ্রাহ্য করেনি আদালত। সাফ জানানো হয়, আট সপ্তাহের মধ্যেই রিপোর্ট জমা পড়েছে, যাঅত্যন্ত ইতিবাচক। কিন্তু সেই রিপোর্টে কি রয়েছে তা জানাতে অস্বীকার করেছে সর্বোতচ্চ আদালত।
এছাড়া আদালতের কার্যক্রম চলার সময় নির্মোহি আখড়ার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, মধ্য়স্থতাকারীরা তাঁদের সঙ্গে কোনও কথা বলেনি। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে ভারতীয় ভাষায় লেখা নথি অনুবাদের সময় অর্থ পাল্টে গিয়েছে। এতে পরবর্তীকালে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলেও অভিয়োগ ওঠে। আদালত অবশ্য পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে মধ্যস্থতাকারীদের কাজে কোনও বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। যার যা আপত্তি, তা ৩০ জুন তারিখের মধ্য়ে আদালতে লিখিতভাবে জানাতে হবে।
মধ্যস্থতার জন্য উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ শহর ঠিক করেছে শীর্ষ আদালত। এছাড়া কাজের দ্রুততার জন্য মধ্যস্থতাকারীদের থাকা, খাওয়া, যাতায়াত, মধ্যস্থতার কেন্দ্র সব ব্যবস্থা করার দায়িত্ব উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকারকে দিয়েছে আদালত। মধ্যস্থতা করার পুরো বিষয়টি ভিডিও রেকর্ডও করতে হবে।