সংক্ষিপ্ত

  • অযোধ্যা মামলা নিয়ে মানুষের কৌতুহল তুঙ্গে
  • এই বিষয়ে প্রশাসন সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তেজনা ছড়াতে নিষেধ করেছে
  • টুইটারে অযোধ্যা নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা 
  • হ্যাসট্যাগ হিস্ট্রি অফ অযোধ্যা টুইটারে এখন ট্রেন্ডিং

অযোধ্যা মামলার শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত তার রায় বের হয়নি।  ইতিমধ্যে অযোধ্যা আলোচনার শিরোনামে চলে আসছে বার বার। সম্প্রতি একটি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, অযোধ্যায় হামলার ছক কষছে জঙ্গিরা। চাপা উত্তেজনা যে অযোধ্যায় রয়েছে, তা আর বলার  অপেক্ষা রাখে না। তার মধ্যেই নতুন টুইটারে নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। হ্যাসট্যাগ হিস্ট্রি অফ অযোধ্যা দিয়ে দেশের নাগরিক একের পর এক মন্তব্য  প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। 


টুইটারে হ্যাসট্যাগ হিস্ট্রি অফ অযোধ্যা দিয়ে জৈনক ব্যক্তি লিখেছেন, আধুনিক শহরগুলোর থেকে তফাতে অবস্থান করছে অযোধ্যা। এই অযোধ্যা কতটা পৌরাণিক শহর, এক সময় এই শহরে কতটা জাঁকজমক ছিল, তা এখনও বোঝা যায়। এর অনেক নিদর্শন শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সেই নিদর্শণ থেকে সাম্যক একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে। এক ব্যক্তি টুইটারে মক্কা, বেথেলহাম ও  অযোধ্যার ছবি প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, 'মক্কা মহম্মদের জন্মস্থান। সুন্দর তাই না? বেথেলহেম যিশুর জন্মস্থান।  আর অযোধ্যা রামের জন্মস্থান।' অন্য এক ব্যক্তি গুগলের একটা ম্যাপ টুইটারে প্রকাশ করে জানান, এই পথেই রাম অযোধ্যা থেকে শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিলেন।  অন্য এক মহিলা টুইটারে  এক ভূত্ত্বাতিকবিদের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি লেখেন, এই সাক্ষাৎকারটি শুনলে বোঝা যাবে, বাবরি মসজিদের নীচে খননকার্যে মন্দিরের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। 


একের পর এক টুইটে উত্তাল হয়ে উঠেছে স্যোশ্যাল মিডিয়া।  হ্যাসট্যাগ হিস্ট্রি অফ অযোধ্যা দিয়ে যে যার মতো করে নিজের মত প্রকাশ করছেন।  অযোধ্যা মামলার রায়ের পূর্ববর্তী  ও পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট চাপে রয়েছে প্রশাসন। বার বার দেশের সাধারণ নাগরিককে সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তেজনা ছড়ায় এমন কিছু পোস্ট করতে প্রশাসন নিষেধ করেছেন। তারপরেও সোশ্যাল মিডিয়ায়  নিজের মন্তব্য একের পর এক প্রকাশ করে চলেছেন। অযোধ্যা মামলার রায়  কোন দিকে ঝুঁকবে সেই নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে জল্পনার শেষ নেই। পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে সময়ই বলে দেবে। এই মুহূর্তে  অযোধ্যা মামলা ইস্যুতে দেশের প্রশাসন অত্যন্ত সক্রিয়।