সংক্ষিপ্ত

অযোধ্যায় থাকার জন্য থাকছে বিলাসবহুল বাসস্থল। আজ থেকে শুরু হচ্ছে বুকিং। কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন, কী কী চমক থাকছে, জেনে নিন। 

নতুন বছর এলেই ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার মন্দিরে ঘটবে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা। শ্রী রামের জন্মভূমি হিসেবে চিহ্নিত এই তীর্থক্ষেত্রের ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ৪ হাজার জন সাধু সহ ৭ হাজার জন মানুষের উদ্দেশে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে। লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হবে ওইদিন। এমন পরিস্থিতিতে রামনগরীতে আগত অতিথিরা কোথায় থাকবেন? শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে যে, রাম মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে আগতদের জন্য ৩টি জায়গায় (কারসেবকপুরম, মণিরাম দাস ক্যান্টনমেন্ট এবং বাগ বিজেসি) থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে, স্থানীয় প্রশাসন ৩টি স্থানে (ব্রহ্মকুন্ড গুরুদ্বার, সর্যু সৈকত এবং গুপ্তার ঘাট) তাঁবুর শহরও তৈরি করছে। মিউনিসিপ্যাল ​​কমিশনার বিশাল সিং বলেছেন যে, রামলালার জীবনের প্রতিপত্তির কথা মাথায় রেখে ব্রহ্মকুন্ড গুরুদ্বারের কাছে একটি তাঁবুর শহর তৈরি করা হয়েছে।

-

তাঁবুর শহরে অযোধ্যার সাংস্কৃতিক ঝলক

রাম মন্দির থেকে প্রায় ৬০০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত ব্রহ্মকুন্ড গুরুদ্বারের কাছে নির্মিত তাঁবুর নগরীতে প্রবেশ করলেই ভগবান শ্রী রামের চরণ পাদুকা এবং অভাবনীয় আলো অতিথিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। গুজরাটের প্রাভেগ কোম্পানি এই তাঁবুর শহর তৈরি করেছে। এখানকার উচ্চপদস্থ কর্মী নীতিন যাদব বলেছেন যে, তাঁবুর নগরীতে সাংস্কৃতিক প্রতীককে স্থান দেওয়া হয়েছে। প্রবেশদ্বার থেকে তাঁবুর তৈরি বিলাসবহুল কক্ষে অযোধ্যার সাংস্কৃতিক ঝলক দেখা যাবে। কমপ্লেক্সের সবুজ লনগুলির উভয় পাশে সারিবদ্ধভাবে মোট ৩০টি বিলাসবহুল কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। যেখানে এসি থেকে গিজার পর্যন্ত, আধুনিক সবরকম সুযোগ সুবিধা রয়েছে। প্রতিটি ঘর সংলগ্ন বাথরুম এবং টয়লেট আছে। বসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে লনে।



৮ হাজার বর্গ মিটার জুড়ে বিস্তৃত, ১০ বছরের লিজে জমি

নীতিন বলেছেন, এই তাঁবুর শহরটি প্রায় ৮ হাজার বর্গমিটার জুড়ে বিস্তৃত। জমিটি ১০ বছরের জন্য লিজ নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ শ্রী রাম মন্দির প্রাণ প্রতিষ্টা অনুষ্ঠানের পরেও এই তাঁবুর শহর গঠিত থাকবে। প্রতিটি তাঁবুতে দুজনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে প্রয়োজনে তিনজনও থাকতে পারবেন। এখানে একটা ডাইনিং হল আছে। এখানে যারা থাকবেন, তারা হোটেলের মতো সুবিধা পাবেন।

সর্যু উপকূলের তীরে ৩৫টি কক্ষের একটি তাঁবুর শহর তৈরি করা হচ্ছে

তিনি বলেন, সর্যু উপকূলে রামকথা জাদুঘরের পিছনে একটি তাঁবুর শহরও তৈরি করা হচ্ছে। এতে ৩৫টি বিলাসবহুল কক্ষ থাকবে, হোটেলের মতো সুবিধাও থাকবে। এই তাঁবুর নগরীতে কি শুধু ভিভিআইপিরাই থাকতে পারবেন নাকি সাধারণ ভক্তরাও থাকবেন? নীতিন যাদব বলেছেন যে, ১৫ ডিসেম্বর থেকে অনলাইন বুকিং শুরু হবে। যে কেউ অনলাইন বা অফলাইনে রুম বুক করতে পারেন। এই তাঁবুর শহর যে শুধু ভিভিআইপিদের জন্য, তা নয়। তাঁবুর নগরীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চও তৈরি করা হয়েছে। সেখানে রামলীলা শো-ও উপস্থাপন করা হবে। 

-

৯ হাজার টাকায় বুকিং

ব্রহ্মকুন্ড টেন্ট সিটিতে প্রতি রাতে ৯ হাজার টাকা করে দিয়ে একেকটি রুম বুক করা যাবে। চেয়ারসহ ড্রেসিং টেবিল, সোফা সেট, ছোট ফ্রিজ, টিভি, চা-কফি মেকারসহ ইলেকট্রিক কেটলি, গরম জলের শাওয়ার, লাগেজ ও জুতোর র‌্যাক, সিকিউরিটি লকার, রুম হিটার, ইন্টারকম সুবিধা পাওয়া যাবে। গুপ্তার ঘাটে তৈরি তাঁবুর শহর থেকে রাম মন্দিরের দূরত্ব প্রায় ১১ কিলোমিটার। এখানে ২০ একর জমির ওপর তৈরি হচ্ছে তাঁবুর শহর। এখানে ২০ থেকে ২৫ হাজার ভক্ত থাকতে পারবেন।

-

সাধু-সন্তরা থাকবেন বাঘ বিজেসিতে

শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ থেকে, রাম মন্দিরের কাছে কারসেবক পুরমে প্রায় ৩ একর জমিতে আরেকটি তাঁবুর শহর তৈরি করা হয়েছে। টিনের চাদরে ঘেরা ঘরে সারিবদ্ধভাবে ১০টি করে বিছানা রয়েছে। সেখানে উপস্থিত কর্মচারীরা জানান, এখানে ১ হাজার জনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও একটি রেস্তরাঁ আছে। মণি পর্বতের কাছে বাগ বিজেসীতে ২৫ একর জায়গায় তাঁবুর শহর নির্মাণের কাজ চলছে। মন্দির থেকে এর দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। এখানে ১৫ হাজার মানুষের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এই তাঁবুর শহরটি ৫ টি শহরে বিভক্ত। পুরো টেন্ট সিটিতে থাকবে ৪ থেকে ৫টি রেস্টুরেন্ট। যেখানে প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য আমন্ত্রিত সাধু-ঋষিদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। তৈরি হচ্ছে হবনকুণ্ডও। রাম মন্দির থেকে ৫০০ মিটার দূরে মণিরাম দাস সেনানিবাসে অবস্থিত তাঁবুর নগরীতে ১২০০ থেকে ১৫০০ জনের থাকার ব্যবস্থা করা হবে।


আরও পড়ুন- 
Ayodhya Ram Mandir: অযোধ্যায় রামলালার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি শুরু, আমন্ত্রিত VVIP-দের জন্য থাকছে বিধিনিষেধ