সংক্ষিপ্ত
প্রায় দুই দিন ধরে গা ঢাকা দিয়ে ছিল ললিত ঝাঁ। এই ললিত ঝাঁ কলকাতার বাসিন্দা। ২১৮ রবীন্দ্র সরণির একটি ঘুপচি ধরেই ছিল একটা সময় তার ঠিকানা। কিন্তু দিনের অধিকাংশ সময়ই এই ঘর দরজাবন্ধ থাকত।
সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝাঁ। প্রাথমিক তদন্তে তেমনই দাবি দিল্লি পুলিশের। সূত্রের খবর তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যের দিকে দিল্লির কর্তব্যপথ থানাায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। এই ঘটনার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নয়াদিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যেই তাঁকে স্পেশাল সেলের কাছে হস্তান্তর করেছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল ললিত ঝাঁ।
প্রায় দুই দিন ধরে গা ঢাকা দিয়ে ছিল ললিত ঝাঁ। এই ললিত ঝাঁ কলকাতার বাসিন্দা। ২১৮ রবীন্দ্র সরণির একটি ঘুপচি ধরেই ছিল একটা সময় তার ঠিকানা। কিন্তু দিনের অধিকাংশ সময়ই এই ঘর দরজাবন্ধ থাকত। তাও প্রায় দেড় বছর আগে। স্থানীয়দের কথায় টিউশন পড়ানোই ছিল তার জীবিকা। তার বাবা দেবানন্দ ঝাঁ স্থানীয় একটি মন্দিরের পুজারি। গিরিশ পার্কের কাছে একটি ঘুপচি ধরেই শিশুদের পড়াত ললিত ঝাঁ।
ললিত ঝাঁ মূলত বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা। কোভিডের পর তার কলকাতা যোগ কমতে শুরু করে। তবে এলাকার মানুষ এখনও তাকে মনে রেখেছে। এলাকায় যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। স্থানীয়রা মানতেই রাজি নয় যে ললিত সংসদে হামলার মাস্টার মাইন্ড। যাইহোক, স্থানীয়দের কথায় লোতিককে সন্দেহ করার মত তেমন কিছু তারা কোনও দিনই দেখেননি।
সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালেই দিল্লি পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। সেই দলে ছিল ললিত ঝাঁ। কিন্তু ললিত সংসদের দর্শক আসনের জন্যও পাশ পায়নি। কিন্তু গোটা সংসদের ঘটনা সে তার মোবাইল সেলফোনে রেকর্ড করেছিল। একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়েছি। ললিত সেই ভিডিও তার কলকাতার এক সহযোগীকে পাঠিয়েছিল। ইতিমধ্যেই তার বাড়িতে হানা দিয়েছে পুলিশ। সেই ব্যক্তি আবার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালায়।
ললিত ঝাঁ যে ব্যক্তিকে ভিডিও পাঠিয়েছিল তার নাম নীলাক্ষ আইচ। এপ্রিলে সেন্ট্রাল হলের একটি সেমিনারে ললিতের সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল। তবে নীলাক্ষ জানত না ললিত কোথায় থাকত। প্রশ্ন বৃহস্পতিবারের পর থেকে কোথায় ছিল ললিত। তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ললিতকে।