সংক্ষিপ্ত

চার শঙ্করাচার্য হলেন, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড, ওড়িশা ও কর্ণাটকের চারটি প্রধান মঠের প্রধান। অষ্টম শতাব্দীতে আদি শঙ্করাচার্য এই মঠগুলি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন

 

অযোধ্য়ার রাম মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠান থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছেন চার শঙ্করাচার্য। তাই নিয়ে রীতিমত জটিলতা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় দাড়িয়ে বিতর্কিত বিষয়ে মুখ খুলল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সংগঠনের কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমার বলেছেন, চার শঙ্করাচার্যের মধ্যে দুই জন আদি শঙ্করাচার্যের নয়মনীতি অনুসরণ করেন। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের পথপ্রদর্শক। কিন্তু একটা সময় তারাই অযোধ্য়ার রাম মম্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠানকেই প্রকাশ্যে স্বাগত জানিয়েছেন। যাইহোক তাদের শঙ্করাচার্যদের কেউই রাম মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না। কিন্তু দুই জন শঙ্করাচার্য তাদের সুবিধেমত সময়েই মন্দির পরিবর্শন করবেন। শীর্ষস্থানীয় আধ্যাত্মিক নেতারা অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন।

চার শঙ্করাচার্য হলেন, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড, ওড়িশা ও কর্ণাটকের চারটি প্রধান মঠের প্রধান। অষ্টম শতাব্দীতে আদি শঙ্করাচার্য এই মঠগুলি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। হিন্দু ধর্মে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হল শঙ্করাচার্যদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু রাম মন্দির সতানত হিন্দু ধর্মের বিধি নিয়ম মানছে না বলে অভিযোগ। তাঁরা জানিয়েছেন, সেই কারণেই তারা রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না। তাঁরা বলেছেন, তাঁরা মোদী বিরোধী নন, কিন্তু অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তাঁরা হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধাচারণ করতে পারবেন না।

অন্যদিকে কংগ্রেসও জানিয়েছে রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তারা যোগ দেবে না। মন্দিরের নির্মাণকাজ এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে। এই কারণের জন্যই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেননি চার শঙ্করাচার্য। শঙ্করাচার্যদের সঙ্গে সুর সুর মিলিয়ে কংগ্রেসও দাবি করেছে মন্দির নির্মাণ কাজ অসম্পূর্ণ। বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী মন্দির উদ্বোধনের কাজে অযথা তাড়াহুড়ো করছে। কেন করছে এই তাড়াহুড়ো - তাই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। যদিও এই বিষয়ে শঙ্করাচার্যরা কিছু বললেন। কিন্তু কংগ্রেসের দাবি মন্দিরকে ইস্যু করে লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য পেতেই এই পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির।

অন্যদিকে শঙ্করাচার্যদের অনুপস্থিতি নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। যার অনেকগুলি ভুয়ো বলে দাবি করা হয়েছে মঠের পক্ষ থেকে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা কেন উপস্থিত থাকবেন না তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই নিয়ে মিথ্য ছড়িয়ে মঠের ভাবমূর্তি খুন্ন করার চেষ্টা করছে অনেকে। সংগঠন স্পষ্ট করে জানিয়েছে, শঙ্করাচার্যরা কেন যোগ দেবে না তা তারা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তারপরেও তা নিয়ে অপব্যবহার করা হচ্ছে। সংগঠন আরও একবার জানিয়েছে, অনুষ্ঠানটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থের পরিপন্থী সেই কারণেই তারা রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যাবেন না। পরে সুবিধেমত সময় মন্দির পরিদর্শন করবেন।