সংক্ষিপ্ত

সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে বেড়ে উঠেছে রামচরিতমানস পড়ার উৎসাহ।

হিন্দু ধর্মগ্রন্থ রামচরিতমানস নিয়ে বিতর্কের শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের গোড়া থেকে। বিহারের শিক্ষামন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা স্বামী প্রসাদ মৌর্য মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘মনুস্মৃতি’ গ্রন্থের মতো ‘রামচরিতমানস’-ও পুড়িয়ে ফেলা উচিত, কারণ এই বইটি সমাজে ঘৃণা ছড়ায়। তাঁর সেই মন্তব্যের পর থেকে হু হু করে বিক্রি হওয়া শুরু হয়েছিল এই ধর্মগ্রন্থটির। তারপর, ২০২৪ সালের শুরুতে অযোধ্যার রাম মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধনের কালে এবার রীতিমতো টানাটানি পড়ে গেল ‘রামচরিতমানস’ বইয়ের ভাণ্ডারে। 

-

রামচরিতমানস ছাপানোর সংস্থা উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের গীতা প্রেসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, বিগত ৫০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার রামচরিতমানসের মজুতে এতখানি ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আসন্ন ২২ জানুয়ারি তারিখে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে। সেই শুভ অনুষ্ঠানের আগে রামচরিতমানসের এই বিপুল চাহিদা বৃদ্ধি দেখে ভীষণ খুশি হয়েছেন গীতা প্রেসের কর্মীরা । 

 



সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে বেড়ে উঠেছে রামচরিতমানস পড়ার উৎসাহ।  গীতা প্রেস ম্যানেজার লালমণি ত্রিপাঠি বলেছেন , “রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার তারিখ ঘোষণা করার পর থেকে হনুমান চালিসার সঙ্গে সঙ্গে রামচরিতমানসের চাহিদাও বেড়ে গেছে। আগের বছরগুলিতে, আমরা প্রতি মাসে রামচরিতমানসের প্রায় ৭৫ হাজার করে কপি প্রকাশ করতাম। এই বছর, আমরা ১ লক্ষ কপি প্রকাশ করেছি এবং তা সত্ত্বেও এখন আমাদের কাছে আর কোনও স্টক অবশিষ্ট নেই।”