সংক্ষিপ্ত
- বিভিন্ন সময়েই বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়েছেন তসলিমা নাসরিন
- অযোধ্যা মামলার রায় নিয়েও মুখ খুললেন তিনি
- জানালেন তিনি বিচারক হলে কী রায় দিতেন
- নেটদুনিয়া কিন্তু তাঁর মতৈামত গ্রহণ করল না
কখনও পুরুষতন্ত্র কখনও ধর্মীয় মৌলবাদ। বরাবরই বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়ে মুখ খুলে সমস্য়ায় পড়েছেন তসলিমা নাসরিন। মৌলবাদিদের চরম হুমকির মুখে পড়েছেন তবু তাঁকে থামানো যায়নি। বিতর্ক আর তসলিমা যেন হাত ধরাধরি করে চলেন। ফের একবার আরও একটি ও অত্যন্ত স্পর্শকার বিষয়ে মুখ খুললেন তসলিমা। টুইট করে জানালেন তিনি যদি অযোধ্যা মামলার বিচারক হতেন তাহলে অযোধ্যার জমি বিতর্ক মামলার রায় কী হতে পারত। আর তাঁর সেই মতামত নিয়ে ফের তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে।
শনিবারই দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলা মামলা ও শতাব্দী প্রাচীন বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি দেওয়া হয়েছে রামলালা-কে। সেখানে রাম মন্দির হবে। আর অযোধ্যাতেই সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে ৫ একর জমি দিতে বলা হয়েছে মসজিদ গড়ার জন্য। এই রায় নিয়ে পাঁচ বিচারকই একমত হয়েছেন। কিন্তু এই রায় মানতে পারছেন না বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা।
এদিন তিনি টুইট করে জানিয়েছেন তিনি যদি অযোধ্যা মামলার বিচারক হতেন, তাহলে সরকারকে নির্দেশ দিতেন, অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে একটি আধুনিক বিজ্ঞান স্কুল খুলতে। আর ৫ একর জমি সরকারকে দিয়ে বলতেন সেখানে একটি আধুনিক হাসপাতাল গড়তে, ষেখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হত।
তসলিমার এই প্রস্তাবে দ্বিধাবিভক্ত নেটদুনিয়া। একাংশের মানুষ যেমন সমাধান সমর্থন করেছেন। তবে সেই অংশ একেবারেই সংখ্যালঘু। অধিকাংশই তসলিমার বিরোধিতাই করেছন, তাঁদের বক্তব্য ভারতে অনেক আধুনিক হাসপাতাল ও অনেক আধুনিক স্কুল রয়েছে। কিন্তু রামলালার মন্দির দেশে শান্তি এবং উন্নতির অনুপ্রেরণা দেবে। রাম মন্দিরের আস্থাতেই ভারত টিকে রয়েছে। তসলিমাকে তাঁরা সব বিষয়ে নাক না গলাবার পরামর্শ দিয়েছেন।