সংক্ষিপ্ত

আদালতের রায়েই অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের পথ পরিষ্কার হয়েছিল। তবে তারপরেও ছিল একটি কাঁটা। আদালতে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের ইঙ্গিত দিয়েছিল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। মঙ্গলবার এই নিয়ে বৈঠক করল বোর্ড সদস্যরা।

 

গত ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে পরিষ্কার হয়েছিল অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের পথ। তবে পুরোটা না। একটা কাঁটা থাকতে পারত। আদালতে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানোর চিন্তা ভাবনা চলছিল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের তরফে। কিন্তু মঙ্গলবার বোর্ডের এক বৈঠকে সেই আশঙ্কাও দূর হয়ে গেল।

এদিনের বৈঠকে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অযোধ্যা পর্বের এখানেই ইতি টানা হবে। আর রায় পুনর্বিবেচনার রাস্তায় যাওয়া হবে না। তবে এই সিদ্ধান্ত সর্বসম্মিতে হয়নি। বাদানুবাদ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৭ সদস্যের বোর্ডের একজন ছাড়া বাকি সকলেই এই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানান। বৈঠকের পর এই কথা জানান বোর্ডের অন্যতম সদস্য আব্দুল রজ্জাক খান।

এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সদস্যরা যে একমত নাও হতে পারেন, তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন বোর্ডের চেয়ারম্যান জুফার ফারুকি। রায় বের হওয়ার পর প্রথম থেকেই রিভিউ পিটিশন দাখিল করার বিরোধী ছিলেন ফারুকি। তবে কিছু বোর্ড সদস্যই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের কথা তুলেছিলেন।

এর পাশাপাশি অযোধ্যায় মসজিদ বানানোর জন্য ৫ একর জমি নেবে কি নেবে না তাই নিয়েও সংশয় রয়েছে। তবে আদালতের দেওয়া এই নির্দেশ নিয়ে এদিন কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।

সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন না জানালেও অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড আগেই জানিয়েছে তারা রিভিউ পিটিশন দেবে। মসজি বানানোর জন্য ৫ একর জমি নেওয়ারও তারা বিরোধী। তবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড অযোধ্যা মামলার অন্যতম পক্ষ ছিল। তারা সরে যাওয়ার পর পার্সোনাল ল বোর্ডের রিভিউ পিটিশনটি আদৌ আদালত গ্রহণ করে কি না, তাই নিয়েই সন্দেহ দেখা দিয়েছে।