সংক্ষিপ্ত
ভোট গ্রহণ শেষ হতেই রাহুল গান্ধীর টুইট কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের জন্য। সেখানে তিনি প্রত্যেককে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
কর্ণাটকে ভোট গ্রহণের পরেই দলের নেতা আর সর্বস্তরের কর্মীদের অভিনন্দন জানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। একই সঙ্গে তিনি অভিনন্দন জানান কর্ণাটকের ভোটারদের। তবে কর্ণাটকের ভোটকে যুদ্ধ হিসেবে চিহ্নিত করে রাহুল কংগ্রেস নেতা ও কর্মীদের সিংহের সঙ্গে তুলনা করেছেন। দলের নেতা কর্মীদের তিনি 'বব্বর শের' হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
রাহুল গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়া বার্তা দিয়ে বলেন, মর্যাদাপূর্ণ লড়াই আর জনগণের কাছে দৃঢ়়তার সঙ্গে পৌঁছে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের কর্ণাটকের নেতা আর কর্মীরা। তিনি আরও বলেছেন, যারা প্রগতিশীল কর্ণাটকের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভোট দিয়েছেন তাদেরও তিনি অভিনন্দন জানাচ্ছেন। রাহুল বলেন, 'আমি 'বব্বর শের' কর্মীদের এবং কংগ্রেসের নেতাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই একটি ভালভাবে পরিচালিত, মর্যাদাপূর্ণ এবং দৃঢ় জনমুখী প্রচারণার জন্য। একটি প্রগতিশীল ভবিষ্যতের জন্য বিপুল সংখ্যক ভোট দেওয়ার জন্য কর্ণাটকের জনগণকে ধন্যবাদ'।
কর্ণাটকের ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়ে চেষ্টা করছে কংগ্রেস। পাল্টা বিজেপি কংগ্রেস মুক্ত ভারতের প্রচার চালিয়েছিল। কিন্তু ভোট গ্রহণের পরে একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে বিজেপির থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। এই অবস্থায় চলতি বছর ক্ষমতায় ফেরার পথ অনেকটাই মসৃণ হতে পারে কংগ্রেসের। যাইহোক ক্ষমতায় ফেরার জন্য কংগ্রেস পাঁচটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেগুলি হল- রাজ্যের সমস্ত পরিবারকে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্য,প্রতি পরিবারেক মহিলা প্রধানকে মাসে ২ হাজার টাকা, বিপিএল পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে মাসে বিনামূল্য ১০ কেজি চাল। স্নাতক যুবকদের মাসে ৩ হাজার টাকা ও ডিপ্লোমা হোল্ডারদের দেড় হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। মহিলাদের জন্য ফ্রিতে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত।
যদিও কর্ণাটক নির্বাচনে কংগ্রেসের ইস্তেহারে বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। যা নিয়ে বিজেপি তীব্র সমালোচনা করেছে। অন্যদিকে সনিয়া গান্ধীর সার্বভৌম্য মন্তব্য নিয়েও তীব্র সমালোচান হয়েছে। শুধু তাই নয়, সনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও দায়ের করেছে বিজেপি। পাল্টা নির্বাচনও এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছে কংগ্রেসের থেকে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ১০৪টি আসন। বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, কিন্তু ছিল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। কংগ্রেসের দখলে ছিল ৮০টি আসন। জেডিএস পেয়েছিল ৩৭টি আসন। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনের পর কর্ণাটক বিধানসভার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল অনেক ঝড়। কংগ্রেস-জেডিএস জোট বেঁধে সরকার গঠনের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই সময় বিজেপি একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হিসেব দাবি করে কর্ণাটকে সরকার গঠন করে। কিন্তু আস্থা ভোটের আগেই সরকার ভেঙে দেয়। সেই সময় বিজেপি সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। তারপর কংগ্রেস -জেডিএস সরকার গঠন করে, মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন এইচডি দেবে গৌড়া। ১৪ মাস তারা সরকার চালিয়েছিল। তরপরই শুরু হয় দলবদলের খেলা। দুই দলের ১৭ জন বিধায়ক দল ত্যাগ করে বিজেপিতে চলে যায়। তারপর কুমারস্বামীর সরকার পড়ে যায়। বিজেপি সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করে সরকার গঠন করে। তারপর টানা তিন বছর বিজেপির সরকার কর্ণাটকে।