সংক্ষিপ্ত

কর্ণাটকের ভোট গ্রহণ শেষ। এবার জনমত বাক্স বন্দি। তবে একাধিক সংবাদ মাধ্যমের বুথ ফেরত সমীক্ষায় এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। 

 

কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন শেষ। শুরু হয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষা। এখনও পর্যন্ত একাধিক সংবাদ মাধ্যমের বুথ ফেরত সমীক্ষায় কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে বিজেপির থেকে। ভোট যুদ্ধে শতাব্দী প্রাচীন দলটি বিজেপিকে কিছুটা হলেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। তবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য কর্ণাটকের ভাগ্যে কী রয়েছে তা অবশ্য জানা যাবে আরও দুই দিন পরে। আগামী ১৩ মে কর্ণাটকের ভোট গণনা। সেই দিনই পরিষ্কার হবে চিত্র।

বুথ ফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাসঃ

ABP News-C ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা যাত্থে কংগ্রেস ১০০-১১২টি আসন পেতে পারে। তবে তা কিন্তু নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠ নয়। যাইহোক বিজেপি পেতে পারে ৮৩-৯৫টি আসন। জনতা দল ইউনাউটেড পেতে পারে ২১-২৯টি আসন।

রিপাবলিক টিভি ওপি MARQর বুথ ফেরত সমীক্ষায় এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের দখলে থাকতে পারে ৯৪-১০৮টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ৮৫-১০০ টি আসন। আ জেডিএস পেতে পারে ২৪-৩২টি আসন।

ইন্ডিয়া টিভি ও সিএনএস এর বুথ ফেরত সমীক্ষায় কংগ্রেসের দখলে থাকবে ১১০-১২০টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ৮০-৯০টি আসন। জেডিএসকে দেওয়া হয়েছে ২০-২৪টি আসন।

TV9 ভারতবর্ষ কংগ্রেসকে দিয়েছে ৯৯-১০৯টি আসন। বিজেপিকে দিয়েছে ৮৮-৯৮টি আসন। জেডিএসকে দিয়েছে ২১-২৬টি আসন।

জি নিউজ ম্যাট্রিজ এর পূর্বাভাস কংগ্রেসের দখলে ১০৩-১১৮টি, বিজেপি ৭৯-৯৮টি আর জেডিএস ২৫-৩৩টি আসন পেতে পারে।

নিউজ নেশন সিজিএস এক্সিট পেলে বিজেপি এগিয়ে কংগ্রেসের থেকে। বিজেপি পেতা পারে ১১৪টি আসন। কংগ্রেস পাবে ৮৬টি আসন। আর জেজিএস পাবে ২১টি আসন।

সুবর্ণা নিউজের সার্ভেতেও এগিয়ে বিজেপি। বিজেপি পেতে পারে ৯৪-১১৭টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ৯১-১০৬টি আসন। আর জেডিএস পাবে ১৪-২৪টি আসন।

টাইমস নাউ ও ইটিজির এক্সিট পোলে কংগ্রেস পেতে পারে ১১৩টি আসন। বিজেপি ৮৫টি আসন। আর জেডিএস পেতে পারে ২৩টি আসন।

গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ১০৪টি আসন। বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, কিন্তু ছিল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। কংগ্রেসের দখলে ছিল ৮০টি আসন। জেডিএস পেয়েছিল ৩৭টি আসন। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনের পর কর্ণাটক বিধানসভার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল অনেক ঝড়। কংগ্রেস-জেডিএস জোট বেঁধে সরকার গঠনের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই সময় বিজেপি একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হিসেব দাবি করে কর্ণাটকে সরকার গঠন করে। কিন্তু আস্থা ভোটের আগেই সরকার ভেঙে দেয়। সেই সময় বিজেপি সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। তারপর কংগ্রেস -জেডিএস সরকার গঠন করে, মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন এইচডি দেবে গৌড়া। ১৪ মাস তারা সরকার চালিয়েছিল। তরপরই শুরু হয় দলবদলের খেলা। দুই দলের ১৭ জন বিধায়ক দল ত্যাগ করে বিজেপিতে চলে যায়। তারপর কুমারস্বামীর সরকার পড়ে যায়। বিজেপি সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করে সরকার গঠন করে। তারপর টানা তিন বছর বিজেপির সরকার কর্ণাটকে।