সংক্ষিপ্ত

মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়

তবে তাঁকে ছাড়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়নি

এমনটাই দাবি করলেন সদ্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় মনের দুঃখ প্রকাশ করতে ছাড়লেন না তিনি

 

বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের আগেই মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তবে তাঁকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই তিনি পদত্যাগ করেছেন, ঘটনাটি সেরকম নয়। তিনি নিজেই পদত্যাগ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনটাই দাবি করলেন বাবুল সুপ্রিয়। এর আগে তিনি নিজেই টুইট করে জানিয়েছিলেন 'আমাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে'। তবে ওইভাবে বলায় ঘটনাটির ভুল ব্যাখ্যা করা হবে বলেই দাবি করেছেন সদ্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

ফেসবুক ও টুইটারে একটি দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে তিনি লিখেছেন, 'হ্যাঁ, ধোঁয়া যেখানে দেখা যায়, সেখানে কোথাও না কোথাও আগুন তো থাকবেই। যাঁরা আমাকে ভালোবাসে, সেই বন্ধু, সংবাদমাধ্মের ফোন আমি ধরতে পারছি না। হ্যাঁ, আমি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছি। (তবে আমি আগে যেমন বলেছিলাম, 'পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে' সেভাবে বলাটা সঠিক নয়)।' সঙ্গে বেশ কয়েকটি স্মাইলি ব্যবহার করেছেন বাবুল সুপ্রিয়।

এরপরই অবশ্য বাবুল, তাঁকে 'দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য', প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর গায়ে কোনও দুর্নীতির দাগ নেই বলে তিনি অত্যন্ত খুশি। তাঁর উপর ভরসা রাখার জন্য আসানসোলের মানুষকেও তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে, বাংলা থেকে যাঁরা নতুন মন্ত্রী হলেন, সেই বিজেপি সাংসদদের তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁরা আরও শক্তিশালী

পোস্টের শেষ অংশে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাবুল সুপ্রিয় সাফ জানিয়েছেন তিনি নিজের জন্য SAD (বড়হাতের অক্ষর ব্যবহার করেছেন) অর্থাৎ দুঃখিত তবে নতুন যাঁরা ক্ষমতা পাচ্ছেন তাঁদের জন্য খুব খুশি।

একসময় নরেন্দ্র মোদী-সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নয়নের মণি ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তবে, কলকাতার টালিগঞ্জ বিধানসভা আসনে অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে পরাজয়ের পর থেকে তাঁর নম্বর লাফিয়ে লাফিয়ে কমেছে, এমনটাই সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। নির্বাচনের পর আসানসোলে বিজেপির সংগঠনে ধস নেমেছে। বহু নেতা-কর্মী যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। বহু নেতা-কর্মী তৃণমূলের আক্রমণে ঘরছাড়া। সেইসময় বাবুলের রাজনৈতিক উপস্থিতি শুধু টুইট করাপর মধ্য়ে আবদ্ধ ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া আসানসোলে বাবুলের বিরোধী গোষ্ঠীও তাঁর বিরুদ্ধে কলকাঠি নেড়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।