সংক্ষিপ্ত
ভারতে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, সম্প্রতি এমনই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
মোদী আমলে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির পরিমাণ।বিজয় মালিয়া, নীরব মোদী, মেহুল চোকসিরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ থেকে ২০১৮-১৯, মোট ১১টা অর্থবর্ষে দেশে মোট ব্যাঙ্ক জালিয়াতির সংখ্যা ৫৩ হাজার ৩৩৪টি। এর জেরে ২.০৫ লক্ষ কোটি টাকা কার্যত লুঠ হয়েছে।
২০১৪-১৫ সালে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অঙ্ক দাঁড়ায় ১৯ হাজার ৪৫৫ কোটি ৭ লক্ষ টাকা। ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে, জালিয়াতির পরিমাণ পৌঁছয় যথাক্রমে ১৮ হাজার ৬৯৮ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা ও ২৩ হাজার ৯৩৩ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকায়। ২০১৭–১৮ সালে সব গন্ডি ছাপিয়ে ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে উধাও হওয়া টাকার পরিমাণ পৌঁছে যায় ৪১ হাজার ১৬৭ কোটি ৩ লক্ষ টাকায়।
প্রতারণার সংখ্যার নিরিখে ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক ও এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে সবচেয়ে বেশি জালিয়াতি হয়েছে। জানা যাচ্ছে, বিগত অর্থ বছরে মোট ৬,৮০১টি জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রায় ৭১ হাজার ৫৪২ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা লুঠ হয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, মোট ৬ হাজার ৮১১টি প্রতারণার জেরে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক ৫০৩৩ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা হারিয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত স্টেট ব্যাঙ্কে প্রতারণার সংখ্যা ৬ হাজার ৭৯৩টি। হারিয়ে গিয়েছে প্রায় ২৩ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা। ব্যাঙ্ক ২ হাজার ৪৯৭টি প্রতারণায় ১২০০ কোটি টাকার কিছু বেশি টাকা হারিয়েছে এইচডিএফসি। ২ হাজার ১৬০টি জালিয়াতিতে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা প্রায় ১২ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা হারিয়েছে।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক খুইয়েছে প্রায় ২৮ হাজার ৭০০ কোটি ২০ লক্ষ টাকা, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া খোয়া দিয়েছে ১২ হাজার ৩৫৮ কোটি ২০ লক্ষ টাকা, সিন্ডিকেট ব্যাঙ্কের ৫ হাজার ৮৩০ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের ৯ হাজার ৪১ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক জালিয়াতির জেরে খোয়া গিয়েছে।
ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের ১১ হাজার ৮৩০ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা, কানাড়া ব্যাঙ্কের ৫ হাজার ৫৫৩ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা, ইউবিআইয়ের ৩ হাজার ৫২ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা ও ইউকো ব্যাঙ্কের ৭ হাজার ১০৪ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা হারিয়েছে জালিয়াতির কারণে।