সংক্ষিপ্ত

ভরতের পাশাপাশি চিন, আমেরিকাতেই জাদু দেখিয়েছে বিসিজি টিকা
করোনা সংক্রমণ রুখতে কার্যকর বলেই দাবি বিজ্ঞানীদের 
আইসিএমআর শুরু করেছে পরীক্ষা 
মৃত্যুর হার কমাতেও এই প্রতিষেধক কার্যকর 
 

যেসব দেশগুলিকে যক্ষ্মা প্রতিরোধের জন্য বাধ্যতামূলভাবে প্রদান করা হয় ব্যাকিবাল ক্যালমেট গেরিন বা বিসিজি ভ্যাকসিন সেসব দেশে করোনাভাইরাসজনিত মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। তেমনই বলেছে নতুন একটি সমীক্ষা। ভারতের পাশাপাশি ব্রিটেন, আমেরিকা, চিন সহ একাধিক দেশে পরীক্ষামূলকভাবে বিসিজি টিকা প্রয়োগ করে ভালো ফল পাওয়া গেছে বলেই দাবি করছেন গবেষকরা। টিকা তৈরির পাশাপাশি করোনাভাইরাস চিকিৎস সহজলভ্য ও বিকল্প প্রতিষেধকের কার্যকারিতা সম্পর্কে গবেষণা চালাচ্ছে বেশ কয়েকটি সংস্থা। আর সেখানেই  করোনা চিকিৎসায় আশার  আলো দেখাচ্ছে বিসিজি টিকা। 

বিসিজি প্রতিষেধকের ভূমিকা আগে মাইন্ড করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সঙ্গে যুক্ত ছিল।  তবে ১৩০টি দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে আগে বিসিজি টিকা দেওয়া হয়নি কিন্তু ২০০০ সাল থেকে এই টিকা দেওয়া বাধ্যতামূলক হয়েছে , সেই সব এলাকায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কম।  শিশুর জন্মের ১৫ দিনের মধ্যেই বিসিজি টিকা দেওয়া হয় ভারতে। আর মহারাষ্ট্র সরকার বিসিজি ট্রায়াল আবারও নতুন করে শুরু করেছে। 

ভারতে ১৯৪৯ সাল থেকেই বিসিজি টিকা প্রাধন করা করা হচ্ছে। ২০১৯ সাল থেকে চলতি বছর ২৬ মিলিয়ন শিশুর মধ্যে ৯৭ শতাংশকেই এই টিকা প্রদান করা হয়েছে। ছোটবেলাতেই টিবি ও মেননজাইটিসের হাস থেকে রক্ষা করার জন্য এই টিকা প্রদান করা হয়। তবে এই টিকা প্রাপ্তবয়স্কদের পালমোনারি টিবি থেকে রক্ষা করে না। তাই বেশ কয়েকটি দেশ এই টিকা প্রদান বন্ধ করে দিয়েছে। 

গবেষকরা জানিয়েছেন ২০০০ সাল পর্যন্ত যেসব দেশে বিসিজি টিকা প্রদান করা হয়েছে সেই সব দেশে রীতিমত উপকৃত হয়েছে। 

গবেষকরা জানিয়েছেন বাহ্য়িক পক্ষপাতিত্বের বিষয়টি অস্বাকীর করার জন্য গবেষণাটি তিনটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথমত উভয় ক্ষেত্রেরই মৃত্যুর হারের দিকে নজর রাখা হয়েছে। দ্বিতীয়ত দেশ অনুসারেও বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। খতিয়ে দেখা হয়েছে আক্রান্তদের ওজন আর স্বাস্থ্যও। তৃতীয়ত, সমস্ত বিষয়গুলিও পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। 

গত ১৮ জুলাই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেজিক্যাল রিসার্চ ন্যাশানাল ইনস্টিটিউ ফর রিসার্চ ও ইন টিউবারকুলোসিস ঘোষণা করেছে যে বিসিডি প্রতিষেধক করোনাভাইরাসের তীব্রতা হ্রাস করতে পারে কি না তা দেখার জন্য একটি গবেষণা করা হচ্ছে। যেখানে তাঁদের মূল লক্ষ্যই থাকবে হটস্পট এলাকাগুলিতে বসবাসকারী ৬০ বছর বয়স্কোদের ওপর। আর এই বিবৃতি অনুসারে ৬টি রাজ্য থেকে একহাজার জন ষাটোর্দ্ধ স্বেচ্ছাসেবীদের চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানান হয়েছে।