সংক্ষিপ্ত

  • কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে চলছে আন্দোলন 
  • কৃষি মন্ত্রী জানতে চাইলেন আর কী দাবি কৃষকদের 
  • বললেন অধিকাংশ কৃষকই তাঁদের পাশে রয়েছে
  • কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল অমিত শাহর 

দেশের অধিকাংশ কৃষকই কেন্দ্রের আনা নতুন তিনটি কৃষি আইন সমর্থন করছেন। রবিবার আরও একবার কৃষি আইনের পক্ষেই সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। তিনি আরও বলেন আগামী মঙ্গলবার কৃষি আইনের বিরোধিতা করে যেসব কৃষকরা দিল্লির সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভ করছেন তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবার কর্ণাটকে গিয়ে কৃষি আইনের পক্ষেই সওয়াল করেন। 

কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর আই আর নতুন তিনটি আইন কার্যকর করা যায়নি। কিন্তু আইনগুলির প্রতি সমর্থন রয়েছে দেশের অধিকাংশ কৃষকের। তিনি আরও বলেন আগামী ১৯ জানুয়ারি আন্দালোনকারী কৃষকদের সঙ্গে আরও একদফা বৈঠক হবে। আইন বাতিল করা ছাড়া সরকার তাঁরা আর কী কী চান তা কৃষকদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কৃষি মন্ত্রী আরও বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আন্দোলনকারী কৃষকদের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠান হয়েছিল। মান্ডি ব্যবসায়ীদের নিবন্ধকরণ ও অন্যান্য বিশয় তাঁদের আশঙ্কা সমাধান করতে সম্মত হওয়ার কথা জানান হয়েছিল। কিন্তু আন্দোলনকারীরা শুধু মাত্র নতুন তিনটি আইন বাতিল করতে চায় বলেই দাবি করেছে। 

অন্যদিকে  কর্ণাটকে গিয়ে অমিত শাহ বলেন কেন্দ্রের আনা নতুন তিনটি কৃষি আইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি কৃষকদের মান উন্নয়নে সাহায্য করবে। তিনি আরও বলেন, নতুন আইনগুলি কৃষকদের আর্থিক উন্নয়নে সহযোগিতা করবে। মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই তাঁরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল দেশ ও বিদেশের যেকোনও স্থানে বিক্রি করতে পারবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তবে এখনই যে আন্দোলনে ইতি টানবেন আন্নদাতারা তার কোনও ইঙ্গিত দেননি কৃষক নেতা রাজেশ টিকাইত। ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের মুখপাত্র বলেন এত আন্দোলনের পরেও কেন সরকার কৃষি আইন প্রত্যাহার করছে না। আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে গত ২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লি সীমানায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিবাদী কৃষকরা।