সংক্ষিপ্ত

  • নির্বাচনের আগেই হার মানল কংগ্রেস
  • গুজরাটে হাতছাড়া রাজ্যসভার ১টি আসন
  • ৫ কংগ্রেস বিধানকে সাসপেন্ড করল দল 
  • কংগ্রেসের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিল বিজেপি
     

রক্তক্ষরণ অব্যাহত হাতে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল ছাড়ার পর থেকে রীতিমত বিদ্ধস্ত শতাব্দী প্রাচীন এই দলটি। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে ক্ষত তৈরি হল মোদি- আমিত শাহর গুজরাটে। যেখানে বিরোধী আসনে বসেছে কংগ্রেস। সরকার বিরোধী অবস্থানে থেকেও ভাঙন দেখা দিল দলে। গতকাল থেকেই শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক চাপান উতোর। সপ্তাহের প্রথম দিনই সামনে এল কংগ্রেসের ৫ বিধায়কের দল ছাড়ার খবর। যদিও ৫ বিধায়কই ২ দিন আগে পদত্যাগপত্র দাখিল করেছেন। কংগ্রেসের দাবি পদত্যাগ করার জন্য ৫ বিধায়ক সাসপন্ড করা হয়েছে। 

আরও পড়ুনঃ হাল ছাড়তে রাজি নন রাজ্যপাল, কালকের মধ্যে সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে কমল নাথকে চিঠি

গুজরাটে রাজ্যসভার তৃতীয় আসনটির জন্যই বিজেপির সঙ্গে লড়াইয়ে নামেছিল কংগ্রেস। এই রাজ্যে চারটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে। প্রত্যেক প্রার্থীকেই ১৮২ আসনের গুজরাট বিধানসভায় বিজেপির পক্ষে রয়েছে ১০৩ বিধায়ক। কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৭১। দুই নির্দল ও এনসিপির এক বিধায়ক কংগ্রেসের পক্ষে থেকে বিরোধী আসনেই বসেছে।  কিন্তু ক্রস ভোটিং হয়ে বিজেপির পাল্লায় ১১১টি ভোট পড়লে তৃতীয় আসনে জয় নিশ্চিত করতে পারবে গেরুয়া শিবির। দলের ১০৩ বিধায়কের সমর্থন ছাড়াও দুই নির্দল বিধায়ক ও  এনসিপির এক বিধায়কের সমর্থন পেলেও তা সম্ভব হবে না। আরও পাঁচটি ভোটের প্রয়োজন রয়েছে বিজেপির। তাই   কংগ্রেস থেকে বিধায়ক ভাঙিয়ে গেরুয়া শিবিরে আনতে চেষ্টা করছে কি বিজেপি? তারই উত্তর খুঁজছে রাজনৈতিক মহল।  আবার অন্যদিকে রাজ্যসভার দুটি আসন জিততে কংগ্রেসের প্রয়োজন ৭৪টি ভোট। নিজের দলের বিধায়কদের সমর্থন ছাড়াও দুই নির্দল ও এক এনসিপি বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। 

আরও পড়ুনঃ মধ্যপ্রদেশে হচ্ছে না আস্থা ভোট, ১০ দিনের স্বস্তিতে কমল নাথ

আরও পড়ুনঃ কমল নাথকে স্বস্তি দিল না বিজেপি, মধ্যপ্রদেশে আস্থা ভোটের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে

কিন্তু দলের ৫ জন বিধায়ক পদত্যাগ করায় রাজ্যসভা ভোটের আগে রীতিমত সংকটে কংগ্রেস। দলের বর্তমান বিধায়ক সংখ্যা ৬৮। প্রয়োজনীয় বিধায়কের তুলনায় ৬ জন কম বিধায়ক রয়েছে দলে।  এই পরিস্থিতিতে দলত্যাগী বিধায়কদের ধরে রাখতে না চেয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছে কংগ্রেস। তবে গতকালই দলের সব বিধায়কদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে তাতে বিশেষ কোনও লাভ হয়নি। আগামী ২৬ মার্চ রাজ্যসভার নির্বাচন।