সংক্ষিপ্ত
- কেরলে দুর্বল হল কংগ্রেস
- দলীয় নেতৃত্বকে দোষারোপ
- কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উদাসীন
- অভিযোগ তুলে দল ছাড়লেন পিসি চকো
দলে গণতন্ত্রের কোনও অস্তিত্ব নেই। কেন্দ্রের এক জন ব্যক্তির নির্দেশে দল চলতে পারে না। দলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ পিপি চকো। প্রবীণ রাজনীতিবিদের এই সিদ্ধান্তে নির্বাচনের ঠিক এক মাস আগে আবারও কংগ্রেসের জরাজীর্ণ ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গেল।
পিসি চকো জানিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছে তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। একই সঙ্গে দল ছাড়ার কথাও ঘোষণা করেছেন। পিসি চকো কংগ্রেসের কেরলের ত্রিসুরের সাংসদ ছিলেন। কেরল বিধানসভা ভোটে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতত্ব রাজ্য তথা স্থানীয় নেতৃত্বের মতামতকে গুরুত্ব দেয়নি। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল পিসি চকোর। তাতেই তিনি বলেন যে কংগ্রেসে গণতন্ত্রের কোনও অস্তিত্ব নেই। প্রার্থী তালিকা নিয়ে নূন্যতম আলোচনা করা হয়নি দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে। আর সেই কারণেই তিনি পদত্যাগ করছেন বলেও জানিয়েছেন। তবে তিনি অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট করে জানাননি পিসি চকো।দলীয় সূত্রের খবর কংগ্রেস সভানেত্রী পিসি চকোর পদত্যাহ পত্র গ্রহণ করেছেন।
পিসি চকো বলেন কেরলে কংগ্রেসের একজন সদস্য হয়ে রাজনীতি করা খুবই কঠিন বিষয়। সূত্রের খবর ইস্তফা পত্রে পিসি চকো লিখেছেন, তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চান, সেই কারণেই তিনি ইস্তফা পাঠাচ্ছেন। কেরলে থেকে কংগ্রেসের করা খুবই কঠিন বিষেয়। কংগ্রেস যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন তিনি তাতে সমর্থন জানিয়েছে এসেছেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া খুবই কঠিন হচ্ছে। সনিয়া গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে পিসি চকো লিখেছেন কোনও একজন কেন্দ্রীয় চরিত্রকে দিয়ে কখনই দলে চলতে পারে না। পিসি চকো তাঁর লেখা ইস্তফা পত্রে কেরলের রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্বেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, বর্তমানে কেরল কংগ্রেস দুটি দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর সেই দুটি দলের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করা খুবই কঠিন বিষয়। তাঁর আরও অভিযোগ রয়েছে দলের অন্তর্দন্দ্ব মেটাতে হাইকমন্ড কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। পিসি চকোর নিশানায় ছিল কেরলের কংগ্রেস নেতা ওমেন চন্ডি ও রমেশ চেনিথালাও। এই দুই নেতা কংগ্রসকে দুর্বল করছে বলেও অভিযোগ তোলোন তিনি