সংক্ষিপ্ত

দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মাতৃভাষা নিয়ে আন্দোলন নতুন কিছু নয়। অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ুতে ভাষা আন্দোলন হয়েছে। এবার কর্ণাটকে নতুন করে ভাষা নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে।

‘বেঙ্গালুরুতে যাঁরা আসছেন তাঁদের জানানো হচ্ছে, আপনারা যদি কন্নড় বলতে না পারেন বা কন্নড় বলার চেষ্টা না করেন, তাহলে আপনাদের বহিরাগত হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। এটা লিখে রাখুন, সবার কাছে ছড়িয়ে দিন। আমরা রসিকতা করছি না। বেঙ্গালুরু কন্নডিগাদের জন্য। অন্য কারও নয়।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এই পোস্ট। ফলে যাঁরা অন্য রাজ্য থেকে কর্মসূত্রে বা পড়াশোনার জন্য কর্ণাটকে গিয়েছেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অনেক বাঙালি কর্মরত। এছাড়া চিকিৎসা-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও বাঙালিরা কাজ করছেন। অনেক বাঙালি পড়াশোনার জন্যও কর্ণাটকে গিয়েছেন। তাঁদের পক্ষে রাতারাতি কন্নড় শিখে নেওয়া সম্ভব নয়। বাঙালিদের পক্ষে কন্নড় বলা বেশ কঠিন। ফলে যদি কট্টরপন্থীরা বাঙালিদের বহিরাগত বলে সমস্যা তৈরি করে, তখন পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যেতে পারে।

কর্ণাটকে বাঙালিদের সমস্যা হবে?

বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসার জন্য যান বহু বাঙালি। তাঁরা মূলত হোয়াইটফিল্ড অঞ্চলে থাকেন। সেখানে বাঙালি পাড়া তৈরি হয়ে গিয়েছে। অনেক হোটেলের মালিক, কর্মচারীরা বাঙালি। ফলে সমস্যা হয় না। অটো রিকশা, ক্যাব চালকরা হিন্দি, ইংরাজিতে কথা বলেন। তথ্য-প্রযুক্তি বা অন্যান্য ক্ষেত্রেও হিন্দি, ইংরাজি চলে। ফলে সমস্যা হয় না। বেঙ্গালুরুতে কর্মরত বাঙালিরা বলছেন, ভাষার জন্য তাঁদের কোনওরকম সমস্যায় পড়তে হয়নি।

 

 

কর্ণাটক সরকারের ভূমিকা কী?

কর্ণাটক সরকারের বিরুদ্ধে কট্টরপন্থীদের প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কারও আপত্তি নেই, কিন্তু অন্যদের ভাষার প্রতি সম্মান বজায় রাখাও জরুরি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে সে কথাই উল্লেখ করছেন। তাছাড়া ভারতের নাগরিকরা যে কোনও রাজ্যেই থাকতে পারেন। সংবিধান তাঁদের সেই অধিকার দিয়েছে। ফলে কাউকে বহিরাগত বলা যায় না।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

বারিসু কন্নড় দিম দিমাভা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, বাজালেন ঢাকও

গুগল সার্চের রেজাল্টে ভারতের সবচেয়ে কুৎসিত ভাষা কন্নড়, ক্ষমা চাইল গুগল

ভাষা বিতর্কে ইসরোর অভিযান, হিন্দি-সংস্কৃত ধন্দের মধ্যেই প্রশ্ন কেন নয় তামিল-কন্নড়