সংক্ষিপ্ত
ভারতের জনবিন্যাসের পরিবর্তন ঘটানোর উদ্দেশ্যে এই আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্র এখনো সক্রিয় রয়েছে। এনআইএ তাদের বাকি সদস্যদের ধরার জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে,
ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে দীর্ঘ দিন ধরেই অব্যাহত রয়েছে রোহিঙ্গা সমস্যা। পশ্চিমবঙ্গের অভ্যন্তরে বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ চলছে বলেও দাবি করেছিলেন গোয়েন্দারা। সেই সূত্রে গোপন খবর মিলল। জানা গিয়েছে প্রতি মাসে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে শত শত রোহিঙ্গা মুসলিমকে ভারতে ঢোকানো হচ্ছে। তারা ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে। এনআইএর তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, এ কাজ পরিচালনা করছে একটি আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্র, যারা ভূগর্ভস্থ টানেলের মাধ্যমে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢোকানোর ব্যবস্থা করছে।
ভারতের জনবিন্যাসের পরিবর্তন ঘটানোর উদ্দেশ্যে এই আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্র এখনো সক্রিয় রয়েছে। এনআইএ তাদের বাকি সদস্যদের ধরার জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, কারণ এই চক্র ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি তৈরি করেছে।
সম্প্রতি এই চক্রের মূল হোতা জলিল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। তিনি ত্রিপুরার বাসিন্দা এবং তার বিরুদ্ধে ১ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, এই চক্র রোহিঙ্গাদের ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি করে ভারতের ১৪টি রাজ্যে পুনর্বাসন করছিল। তারা প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ জন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢোকাচ্ছিল এবং তাদের নতুন চেহারা, পরিচয় ও ভাষা শিখিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছিল।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টকে এর আগে জানায় যে, সব ক্ষেত্রে বিদেশিদের শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। বিশেষ করে যখন এসব লোকের বেশির ভাগই অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করেছে। সরকারের দাবি ছিল, রোহিঙ্গাদের অব্যাহত অবৈধ অভিবাসন জাতীয় নিরাপত্তার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা হলফনামায় কেন্দ্রীয় সরকার বলে যে ভারত ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশন বা ১৯৬৭ সালের রিফিউজি সংক্রান্ত প্রোটোকলে কখনই সই করেনি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।