সংক্ষিপ্ত

  • হুহু করে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি রাজধানীতে বাড়ছে সংক্রমণ
  • ফের সম্পূর্ণ লকডাউনের পথেই হাঁটল প্রশাসন
  • মঙ্গলবার বিকেল থেকে সম্পূর্ণ লকডাউনে বেঙ্গালুরু
  • মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পাকে সমর্থন বিরোধী এইচ ডি কুমারাস্বামীর 

দেশে আনলক চলছে, কিন্তু এর মাঝেই দৈনিক সংক্রমণ প্রতিদিন রেকর্ড গড়ছে। সোমবারও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। এবার আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। দেশে মোট করোনা আক্রান্ত ৯ লক্ষ ছুঁতে চলল। এই অবস্থায় ফের একবার লকডাউনের পথেই হাঁটল দেশের তথ্যপ্রযুক্তি রাজধানী বেঙ্গালুরু। মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে ২২ জুলাই সকাল ৫টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন করে রাখা হবে বেঙ্গালুরুকে। এই সময় সমস্ত বাণিজি্যক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কবেল মাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান সকাল ৫টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

গত রবিবার বেঙ্গালুরুতে করোনা আক্রান্ত হন ১,৫২৫ জন। যার ফলে দেশের অন্যতম এই মেট্রো শহরে বর্তমানে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ১৪,০৬৭তে। সেই কারণেই প্রশাসন সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটাতে বন্ধ হল। এই সময় সমস্তরকম সরকারি, বেসরকারি যানবাহন থেকে শুরু করে স্টেডিয়াম, সুইমিংপুল, জিমনেসিয়াম, সিনেমা হল, শপিং মল বন্ধ রাখা হবে।

আরও পড়ুন: নিউ নর্মালে নতুন স্টাইল স্টেটমেন্ট, সোনার পর এবার চাহিদা বাড়ছে হিরের তৈরি মাস্কের

দেশে আনলক শুরু হওয়ায় বিভিন্ন রকম ছাড় মিলছে এখন। কিন্তু এর মাঝে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় একাধিক রাজ্যই ফের লকডাউনের পথে হাঁটছে। উত্তরপ্রদেশও গত সপ্তাহে  ৩দিন সম্পূর্ণ লকডাউন করে রাখা হয়েছিল। গত ২ সপ্তাহ ধরে লকডাউন চলছে জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে। সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় লকডাউনের পথে হেঁটেছে পুনেও। এদিকে, করোনা আক্রান্ত তামিলনাডুতেও লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তামিলনাড়ুর মাদুরাই শহরে লকডাউন বাড়ানো হচ্ছে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত। 

এদিকে দেশে সংক্রমণ বাড়লেও সুস্থতার হারেও বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। সোমবার সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৩.০২ শতাংশে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা মুক্ত হয়েছেন ১৮,৮৫০ জন। ফলে দেশে বর্তমানে করোনা জয়ীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লক্ষ ৫৩ হাজার ৪৭০য়ে। 

আরও পড়ুন: করোনা নিয়ে নতুন গবেষণায় বেরিয়ে এলো ‘ভয়ঙ্কর’ তথ্য, সুস্থ হওয়ার পরেও শরীরে থেকে যাচ্ছে উপসর্গ

দেশে গড় সুস্থতার হারের থেকে এগিয়ে রয়েছে ১৯টি রাজ্য। এরমধ্যে সবার প্রথমে রয়েছে লাদাখ। কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলে সুস্থতার হার ৮৫.৪৫ শাতংষ। এরপরেই রয়েছে রাজধানী দিল্লি। জাতীয় রাজধানীতে সংখ্যাটা ৭৯.৯৮ শতাংশ। উত্তরাখণ্ডে সুস্থতার হার ৭৮.৭৭ শতাংশ।