সংক্ষিপ্ত
বুধবার রাতে গভীর নিম্নচাপের কারণে বেঙ্গালুরু শহরের একাংশ ডুবল জলে। শহরের জনজীবনের এই বিপন্নতা দেখেই বৃহস্পতিবার সরকার থেকে তড়িঘড়ি জারি করা হলো হলুদ সতর্কতা।
আবার ভারী বর্ষায় ভাসলো বেঙ্গালুরু। বুধবার রাতে গভীর নিম্নচাপের কারণে বেঙ্গালুরু শহরের একাংশ ডুবল জলে। কোমর সমান এই জমা জল নিয়ে অস্বস্তিতে এলাকাবাসী। ঘর থেকে বেরোনো তো প্রায় বন্ধই হয়েছে তাদের । এমনকি নিত্যনৈমিত্তিক জিনিস কিনতে গেলেও রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। খাবার দাবারের সরঞ্জাম ফুরিয়েছে যেসব বাড়িতে তাদের এখন দিন কাটছে অনাহারে। গোদের উপর বিষফোঁড়া " বিদ্যুৎ - বিভ্রাট " ....বেঙ্গালুরুর এই দুর্দশার চিত্র দেখে আবেগে ভাসলো গোটা দেশ।
শহরের জনজীবনের এই বিপন্নতা দেখেই বৃহস্পতিবার সরকার থেকে তড়িঘড়ি জারি করা হলো হলুদ সতর্কতা। কিন্তু তাতেও নিয়ন্ত্রনে এলো না পরিস্থিতি।শহরের রোড থেকে বেসমেন্ট সবই এখন জলমন্গ্ন। সম্প্রতি টুইট করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে ওই অঞ্চলের বেসমেন্টে এমন জল দাঁড়িয়েছে যে দেখে মনে হচ্ছে এটি কোনো প্রত্যন্ত বন্যা-কবলিত অঞ্চল। যিনি আপলোড করেছেন তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন , " না এটি কোনো নদী নয়, এটি আমার বাড়ির বেসমেন্ট। " ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ৩৭ হাজার ভিউস পেয়েছে। তার সঙ্গে লাইক ও কমেন্টও বাড়তি পাওনা।
বেঙ্গালুরু - বন্যার এই ক্লিপটি টুইটারে আপলোড হতেই সমবেদনার সুর মন্তব্য -বাক্সে। কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশও করেছেন। আবার কেউ বলেছেন বেঙ্গালুরুর বিল্ডিংগুলি যারা তৈরী করেছেন তাদের নকশায় গাফিলতি থাকার কারণেই শহরে এমন জলাবদ্ধতা। অন্য একজন লিখেছেন " বেঙ্গালুরুর এই অংশটি নিশ্চই কোনো হ্রদকে বুজিয়ে বানানো হয়েছিল, তাই এমন জল - বিভ্রাট। " অপর এক ব্যক্তি সেই মন্তব্যেরই রেশ টেনে বলেন "হ্রদের উপর বিল্ডিং বানালে এমনই হয় " , তবে একজন এদের সবাইকে থামিয়ে দিয়ে বলেন ," খুব কষ্ট হচ্ছে বেঙ্গালুরবাসীকে এইভাবে দেখতে। তবে প্রকৃতি হয়তো এভাবেই নিজেকে পুনরুদ্ধার করে একটু একটু করে। "
গত মাসেই তিন দিন ব্যাপী মারাত্মক বৃষ্টিতে থমকে গিয়েছিলো বেঙ্গালুরু শহর।তার উপর এবারের এই বন্যা পরিস্থিতি কতটা প্রভাব ফেলবে দেশের আইটি ক্যাপিটালে ? সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন "জয়ললিতার মৃত্যুকে নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে "-বিস্ফোরক মন্তব্য শশীকলার
আরও পড়ুন Rozgar Mela 2022-কেন্দ্রের দীপাবলি উপহার! ৭৫ হাজার যুবককে চাকরি দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী