সংক্ষিপ্ত
শিক্ষামন্ত্রী প্রফুল পানশেরিয়া বলেছেন, তিন বছর আগেই কেন্দ্রের তৈরি খসড়া করা নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP) অধীনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এবার থেকে স্কুলেও পড়তে হবে ভগবৎ গীতা। গুজরাট সরকার শুক্রবার গভবৎ গীতার ওপর একটি সাপ্লিমেন্টারি পাঠ্যপুস্তক চালু করেছে। যা আগামী শিক্ষাবর্ষের ৬-৮ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যসূচিতে যোগ করা হবে। গুজরাট সরকারের এক মন্ত্রী বলেছেন, এই পদক্ষেপের একটি অন্যতম কারণ হল শিক্ষার্থীদের ভারতের সমৃদ্ধি, বৈচিত্র্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। এটি ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতি ও জ্ঞাণের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক।
শিক্ষামন্ত্রী প্রফুল পানশেরিয়া বলেছেন, তিন বছর আগেই কেন্দ্রের তৈরি খসড়া করা নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP) অধীনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যেরশিক্ষা দফতর NEP-২০২০র অধীনে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শ্রীমদ ভগবৎ গীতাতে মূর্ত অধ্যাত্মিক নীতি ও মূল্যবোধগুলিকে ৬-৮ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য দেওয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ প্যাটেলকে ধন্যবাদ জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। দফতর জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্তের কারণে দেশের প্রাচীন ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হবে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা। পড়ুয়াদের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে এই পদক্ষেপ অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষানীতির জন্য নরেন্দ্র মোদীকেও ধন্যবাদ জানিয়েছে শিক্ষা দফতর।
পাঠ্যপুস্তকটি গীতা জয়ন্তী উপলক্ষ্যে চালু করা হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত স্কুলেই এটি পাঠ্যপুস্তক হিসেবে দেওয়া হবে। রাজ্যজুড়ে সমস্ত স্কুলেই এই কর্মসূচি চালু করা হবে। আগামী দিনে ৯-১২ ক্লাসের পড়ুয়াদেরও জন্য এই পাঠ্যক্রম চালু করা হবে।
অন্যদিকে আগেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক টালবাহানা হয়েছে। হাইকোর্টে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল উলামা ই হিন্দ। সংস্থা সাংবিধানিক বৈধতার ভিত্তিতে রেজোলিউশনটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। হাইকোর্ট অবশ্য তাতে স্থগিতাদেশ দেয়নি। তবে বিষয়টি এখনও আদালতের বিচারাধীন।