সংক্ষিপ্ত
- কৃষকদের ডাকা বনধে অশান্তি এড়াতে তৎপর পুলিশ
- দিল্লি জুড়ে জারি করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তা
- কৃষকরা জানিয়েছেন তাঁরা শান্তিপূর্ণ বনধ করবেন
- বনধের সময় সমস্যায় পড়া পথচলতি মানুষদের পাশে থাকবেন
তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভরত কৃষকদের ডাকে মঙ্গলবার। এদিন সকাল থেকেই তৈরি রয়েছে দিল্লি প্রশাসন। পুলিশের তরফে জানান হয়েছে অশান্তি এড়াতে সবরকম কড়া পদক্ষপ নেওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে যদি কৃষকরা জোর করে দোকানপাট বন্ধ করতে উদ্যোগী হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৪ হাজার ট্রাফিক পুলিশ ও কয়েকশো নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন থাকবে দিল্লির সীমানাবর্তী এলাকাগুলিতে। বিক্ষোভকারী কৃষকরা যাতে দিল্লিতে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে রীতিমত জোর দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কৃষকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে তারা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ভাবেই বনধ পালন করবে। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের পক্ষ থেকে রাজেশ টিক্কা বলেন, তাঁদের ডাকা বনধে কেউ যদি ২-৩ ঘণ্টা আটকে যান তাহলে তাদের কোনও সমস্যা হবে না। তাঁরা জল ও ফল সরবরাহ করবেন। তাঁরা এই বনধে একটি অন্য নজির তৈরি করতে চাইছেন বলেও জানিয়েছেন। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত তাঁরা দেশজুড়ে বনধ পালন করবেন বলেও জানিয়েছেন।
দিল্লির পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন গোটা দিল্লিতেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। জমায়েত ও সভাসমিতির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কোনও ব্যক্তি যাতে আইন হাতে তুলে নিতে না পারে সেদিকে কড়া নজর দেওয়া হবে। সীমানাবর্তী এলাকাগুলিতে বিক্ষোভরত কৃষকদের ওপর নজরদারি চালানোর জন্য ড্রোনের ব্যবহার করা হতে পারে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। দিল্লি-হরিয়ানা সীমানা ও দিল্লি-উত্তর প্রদেশ সীমানা এলাকায় নজরদারি বাড়ান হয়েছে। কৃষকদের ডাকা বনধে অশান্তি এড়াতে উত্তর প্রদেশ প্রশাসনও কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। গ্রামীণ লক্ষনৌতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযান এদিন ১৩তম দিনে পড়ছে।
তবে কৃষকদের ডাকা বনধের একের পর এক সংগঠন সমর্থন জানাচ্ছে। বিএসএনএল কর্মীদের পর এবার সমর্থন জানিয়েছে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন। কাজে যোগ দেওয়ার আগে তারা বিক্ষোভ দেখাবে। পাশাপাশি কৃষি আইনের প্রতিবাদে ধিক্কার জানিয়েছে তারা কালো ব্যান্ডে বেঁধে কাজে যোগ দেবে।