সংক্ষিপ্ত

শেষ হল ১১ দিনের অনুসন্ধান

অবসান হল সব জল্পনার

আরব সাগরে মিলল কমান্ডার নিশান্ত সিং-এর নিথর দেহ

গত ২৬ নভেম্বর ভেঙে পড়েছিল মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমান

সব জল্পনার অবসান। ১১ দিন ধরে সন্ধানের পর সোমবার আরব সাগরের বুক থেকে মিলল ভারতীয় নৌসেনার নিখোঁজ বাহিনীর পাইলট কমান্ডার নিশান্ত সিং-এর নিথর দেহ। গত ২৬ নভেম্বর এক জুনিয়র পাইলট-কে মিগ-২৯ বিমানের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন তিনি। আরব সাগরের উপর দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল মিগ যুদ্ধবিমানটি। প্রশিক্ষণাধীন পাইলটকে সঙ্গে-সঙ্গেই উদ্ধার করা গেলেও এতদিন খোঁজ মেলেনি প্রশিক্ষকের।

মিগ-২৯ বিমানে দুটি আসন থাকে। চালকের আসনে ছিলেন কমান্ডার নিশান্ত সিং-ই। বিপদ বুঝেই তিনি ইজেক্টর বোতাম টিপেছিলেন। মিগ বিমানের ইজেক্টর বোতাম টিপলে প্রথমে পিঠছনের সিটটি বিমান থেকে আলাদা হয়, পরে সামনের আসনটি। ফলে প্রশিক্ষণাধীন পাইলটই প্রথমে ভেঙে পড়া বিমানটি থেকে নিজেকে আলাদা করতে পেরেছিলেন। তিনি পরে জানিয়েছিলেন বিমানটি ত্যাগ করার পর তিনি বিমন থেকে দ্বিতীয় একটি প্যারাসুট দেখতে পেয়েছিলেন। তাতেই কমান্ডার নিশান্ত সিং-কে নিয়ে আশা বেড়েছিল।

ঘটনার চার দিন পরে, ১ ডিসেম্বর, নৌসেনার বিশেষজ্ঞরা রুশ নির্মিত দুই আসন বিশিষ্ট যুদ্ধ বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পেয়েছিলেন। তাতে কমান্ডার নিশান্ত সিং-এর ইজেকশন আসন ছিল না। তাতেই তাঁর জীবিত থাকার সম্ভাবনা নিয়ে আরও আশাবাদী হয়েছিল নৌসেনা। তবে তার পরেও বেশ কয়েকটা দিন কেটে যাওয়ায় তাঁর বেঁচে থাকার আশাও কমেছিল। শেষ পর্যন্ত এদিন আরব সাগরের এক জায়গা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে নৌসেনা। মিগ-২৯ বিমানে রাশিয়ারই তৈরি কে-৩৬ডি -৩.৫ ইজেকশন সিট লাগানো থাকে। একে বিশ্বের যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে সবথেকে পরিশীলিত ইজেকশন সিট হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তারপরেও কমান্ডার নিশান্ত সিং-এর কেন মৃত্যু হল, তার তদন্ত করা হবে।  

আরও পড়ুন - বাংলাদেশ কি চলে যাবে ইসলামি চরমপন্থীদের হাতে - ভয় ধরাচ্ছে হেফাজত-এ-ইসলাম, দেখুন ছবিতে ছবিতে

আরও পড়ুন - এবার কি হেট স্পিচ নিয়ে আসবে নতুন আইন - গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

আরও পড়ুন - ম্যাক্রঁ-র সঙ্গে হাত মেলালেন মোদী, ইসলামি বিশ্বে বিদ্বেষের মধ্যেই ভারত দিল আশ্বাস

সম্প্রতি বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নৌসেনার এই অভিজ্ঞ পাইলট। তাঁর উপরের নৌসেনা কর্তাকে সেই কথা জানাতে গিয়ে তিনি মজা করে একটি চিঠি লিখেছিলেন। বিষয় হিসাবে লিখেছিলেন 'গুলি খাওয়ার অনুমতি'। আর চিঠিতে লিখেছিলেন, নিজের উপর একটি পরমাণু বোমা ফেলতে চান। আকাশে যেমন সেকেন্জেরও ভগ্নাংশে তাঁদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়, ভাবার সময় থাকে না, এই ক্ষেত্রেও তাঁর তেমনটাই হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন এই প্রতিভাবান পাইলট।