সংক্ষিপ্ত

কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা দিল্লি প্রবেশের পর থেকেই রাহুল গান্ধীকে নিয়ে নিরাপত্তা বিতর্কে জড়িয়ে পড়লো দিল্লি পুলিশ। কংগ্রেসের দাবি যে দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় বিধি লঙ্ঘন করেছেন।

 

 

কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা দিল্লি প্রবেশের পর থেকেই রাহুল গান্ধীকে নিয়ে নিরাপত্তা বিতর্কে জড়িয়ে পড়লো দিল্লি পুলিশ। কংগ্রেসের দাবি যে দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় বিধি লঙ্ঘন করেছেন। কংগ্রেসের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েই দিল্লি পুলিশের দাবি যে নিয়মবিধি ভেঙেছেন স্বয়ং রাহুলই। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য রাহুল গান্ধী দিল্লিতে প্রবেশের পর যাতে তিনি সঠিক নিরাপত্তা পান তাই তাকে বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন দিল্লি পুলিশ। কিন্তু এর পাল্টা জবাবে রাহুল জানান যে এই কাজ করা তার পক্ষে কোনোমতেই সম্ভব নয় কারণ তিনি পদযাত্রা করছেন। এই নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। বিজেপি নেতারা এই প্রসঙ্গে রাহুলকে আক্রমণ করলে কংগ্রেস সাংসদদের পাল্টা জবাব ,' ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতারাও মাঝে মধ্যে বুলেটপ্রুফ গাড়ি এড়িয়ে চলেন। হুডখোলা জিপে তারা রোড শো করেন কিন্তু তাতে নিয়মবিধি লঙ্ঘিত হয় না বা এইকারনে তাদেরকে চিঠি পাঠানো হয় না। রাহুল গান্ধী নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন করলে শুধু তার বিরুদ্ধেই রুজু হয় মামলা। '

তবে এপ্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী বলেন যে এই পদযাত্রা ভারতের আবেগের সঙ্গে জুড়ে গেছে।তাই কোনো প্ররোচনা বা অর্থের দম্ভ, আর এটিকে দমন করতে পারবে না। রাহুল গান্ধী আরও জানান যে এই পদযাত্রা তাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। একটি সাংবাদিক বৈঠকে এপ্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন ,'আমি যখন পদযাত্রা শুরু করেছিলাম তখন পদযাত্রা সম্পর্কে কোনোরকম কোনো ধারণা না নিয়েই শুরু করেছিলাম এটি। বলা বাহুল্য যে শুধুমাত্র পদযাত্রার অভিজ্ঞতা নিতেই শুরু করেছিলাম এটি। কিন্তু যত দিন গেছে বুঝতে পেরেছি যে এটি শুধু পায়ের হাঁটার চেয়েও অনেক বেশি কিছু। এটি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছে। আমার আবেগ বা কল্পনার চেয়েও এটি আমাকে অনেক বেশি কিছু দিয়েছে। আমি অনেক কিছু শিখেছি এই পদযাত্রার মাধ্যমে। '

গত ৭ ই সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়েছিল এই যাত্রা। তারপর থেকে পেরিয়ে গেছে প্রায় ১৫০ দিন। যাত্রার অভিজ্ঞতা নিয়ে বলতে গিয়েই নস্টালজিক হয়ে পড়েন রাহুল গান্ধী। নতুন নিয়ম বাস্তবায়নের বিষয়েও প্রশ্ন করলে তিনি জানান যে রাজস্থান যদি পেনশন নীতি পুনঃপ্রবর্তনের মতো কোনো স্কিম ফের চালু করতে চায় তবে তাতে শীর্ষনেতৃত্বরা কোনোভাবেই হস্তক্ষেপ করবে না। আসন্ন ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন নিয়েও তার বক্তব্য স্পষ্ট ।তিনি বলেন যে বিরোধীরা যদি একজোট হয় তবে নরেন্দ্র মোদির পক্ষে এই ভোট জেতা কঠিন হয়ে পড়বে।