সংক্ষিপ্ত
২০২৩ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি
৭৫ সপ্তাহ আগে থেকেই উদযাপন শুরু করে নরেন্দ্র মোদী সরকার
১২ মার্চ থেকে সারাদেশে হবে তিন সপ্তাহের মহোৎসব
২০২৩-এর স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত চলবে বিভিন্ন উদযাপন
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন শুরু করে দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ১২ মার্চ থেকে সারাদেশে তিন সপ্তাহ ধরে 'ভারত কা অমৃত মহোৎসব' (ভারতের অমৃত মহোৎসব) নামে একটি উত্সব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই এই উৎসবের সূচনা করবেন। এই উৎসবের আওতায় প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভারতের গৌরবময় ইতিহাস, সংস্কৃতি, প্রযুক্তিগত বিকাশ এবং ডিজিটাল প্রগতির প্রদর্শনী করা হবে।
২০২২ সালের স্বাধীনতার ৭৫তম বছর পূর্ণ হবে। সেই উপলক্ষ্যে তার ৭৫ সপ্তাহ আগে থেকেই এই উত্সব শুরু করা হচ্ছে। ১২ মার্চ ডান্ডি অভিযান-এর বার্ষিকি। ওই দিনই এই উৎসবের সূচনা হবে। ৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। তবে ২০২৩-এর স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত এই উৎসবের মেয়াদ প্রসারিত করা হতে পাব়ে। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এই মহোৎসবের উদ্দেশ্য একদিকে যেমন ১৯৪৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ভারতের গর্বের মুহূর্তগুলিকে তুলে ধরা। অন্যদিকে, ২০৪৭ সালে ভারত কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, তার জন্য দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা। ৭৫ সপ্তাহের প্রত্যেক সপ্তাহে একটি করে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। এই অননুষ্ঠানগুলির আয়োজন করা হবে দেশের ৭৫টি ঐতিহাসিক তাত্পর্যপূর্ণ স্মৃতিসৌধে।
মঙ্গলবার, এই উৎসব আয়োজনের বিষয়ে প্রতিটি রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসনিক শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই অনুষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন স্মরণমূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করতে বলেছেন। গুরু তেগ বাহাদুর, শ্রী অরবিন্দ, সুভাষচন্দ্র বসুদের মতো নেতাদের জন্মদিবস পালনের পাশাপাশি স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যান্য অনুপ্রেরণা প্রদানকারী, স্থানীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং অন্যান্য স্বল্প পরিচিত ব্যক্তিত্বদের ঘিরেও অনুষ্ঠান করা হতে পারে।
সাইকেল র্যালি, প্রদর্শনী, ডিজিটাল শো, যোগ শিবির, শিশুদের নিবন্ধ প্রতিযোগিতা, স্থানীয় উদ্ভাবনী চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা, ভার্চুয়াল ইভেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার -এর মতো কার্যক্রমের কথা ভাবতে বলা হয়েছে। এছাড়া, এই উৎসবে স্থানীয় শিল্প ও বাণিজ্য সংস্থা, নাগরিক সমাজ, শিক্ষার্থী, স্থানীয় বিভিবন্ন সংস্থা, মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।