ভোপালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায়, এক মুসলিম যুবতী নাম পরিবর্তন করে এক হিন্দু যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। পরের ঘটনা জানলে তাজ্জব হবেন..

ভোপালে প্রেম জিহাদ: মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে এক অভূতপূর্ব এবং চাঞ্চল্যকর প্রেম জিহাদের ঘটনা সামনে এসেছে, যা সকলকে হতবাক করেছে। এই ঘটনায় একজন মুসলিম যুবতী নিজের নাম পরিবর্তন করে একজন হিন্দু যুবককে প্রেমের জালে ফেলেছে এবং এখন তার উপর ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। আসুন এই পুরো ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে জানি।

ভুয়া নাম ও পরিচয় দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছে যুবককে

ভোপালের অশোকা গার্ডেন থানা এলাকার বাসিন্দা নিলোফার নামের এক মুসলিম যুবতী নিজেকে ‘শ্রেয়া সিলাওয়াত’ বলে পরিচয় দিয়ে হিন্দু যুবক শেখর সিলাওয়াতের সাথে যোগাযোগ করে। নিলোফার ‘শ্রেয়া’ নামে একটি ভুয়া আধার কার্ড বানায় এবং এই নামেই ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক আইডি খুলে শেখরের সাথে চ্যাটিং করে। যুবককে বিশ্বাস করে সে তাকে বিয়ে করার জন্য বাধ্য করে।

বিয়ের চাপে আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়ে

শেখর সিলাওয়াতের অভিযোগ, নিলোফার তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছে। ভয়ে সে আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়ে করে, কিন্তু বিয়ের পর নিলোফার তার উপর ধর্মান্তরিত হওয়ার চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করে। যুবকের দাবি, এই পুরো ঘটনায় প্রতারণা এবং ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে।

পূর্বে বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জননী ওই যুবতী

এই ঘটনায় আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তদন্তে জানা গেছে, নিলোফার পূর্বেই বিবাহিত এবং তার তিনটি সন্তানও আছে। তা সত্ত্বেও সে শেখরের উপর বাচ্চাদের বাবা হওয়ার চাপ সৃষ্টি করছে। এছাড়াও, সে শেখরের বাড়িতে গুন্ডাও পাঠিয়েছে, যাদের মাধ্যমে যুবকের মোবাইল এবং সোনার আংটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

মিথ্যা মামলার হুমকি এবং আত্মহত্যার পরিস্থিতি

নিলোফার ক্রমাগত শেখরকে আত্মহত্যা এবং ধর্ষণের মতো মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে। এই চাপের মুখে শেখর বাধ্য হয়ে তার কথা মেনে নিচ্ছে, যার ফলে ঘটনাটি আরও জটিল হয়ে উঠছে। যুবক পুলিশের কাছে সুরক্ষা চেয়েছে।

পুলিশ তদন্ত করছে, শীঘ্রই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে

অশোকা গার্ডেন থানার পুলিশ এই ঘটনার গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেমন্ত শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, উভয় পক্ষের কাছ থেকে আবেদন নিয়ে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে যা কিছু তথ্য পাওয়া যাবে, তার ভিত্তিতে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।