সংক্ষিপ্ত
অযোধ্যায় চলছে রাম মন্দিরের ভূমি পূজার প্রস্তুতি
বুধবার কিন্তু ভূমিপূজা হয়ে গেল রামের মা অর্থাৎ মাতা কৌশল্যার মন্দিরের
তবে এই মন্দির অযোধ্যায় নয়
তৈরি হবে রামের মাতৃভূমিতে
অযোধ্যায় মহাসমারোহে চলছে রাম মন্দিরের ভূমি পূজা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। ৫ অগাস্টের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাম মন্দির আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সমস্ত বিশিষ্ট সাধুসন্ত ও রাজনৈতিক নেতারা। থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তারই মধ্যে বুধবার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হল রামের মা অর্থাৎ দশরথ পত্নী কৌশল্যার মন্দিরের নির্মাণের কাজ।
না, এই মন্দির অযোধ্যাতে নয়ই, বস্তুত উত্তরপ্রদেশেই নয়। ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরের কাছে চন্দ্রকুরি নামে একটি গ্রামই রামের মাতৃভূমি হিসাবে বিশ্বাস করেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে মাতা কৌশল্যার নামে একটি প্রাচীন মন্দির-এ ছিল। সৌন্দর্যায়ন এবং সম্প্রসারণের মাধ্যমে নতুন করে সেই প্রাচীন মন্দিরটিই গড়ে তোলা হবে। এদিন তারই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল। জানা গিয়েছে মন্দিরটির নির্মাণকাজ শুরু হবে অগাস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে।
এদিন সপরিবারে ওই প্রাচীন মন্দিরস্থলে এসেছিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ভিত পূজা করে তিনি বলেন, 'ভগবান রাম দেশের প্রতিটি কোণায় বিরাজমান'। 'রাম বন গমন পথ' নামে ছত্রিশগড় সরকার সেই রাজ্যে নয়টি এলাকার উন্নয়নের জন্য ১৩৭.৪৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করেছে। এই প্রকল্পেরই আওতায় চন্দ্রকুরি মন্দিরের সামনে একটি বাইপাস নির্মাণ করা হবে। সেখানে খোলা হবে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের শাখাও।
হিন্দু দেবতা রাম তাঁর ১৪ বছরের নির্বাসনে যাওয়ার সময় যে যে জায়গায় পা রেখেছিলেন বলে মনে করা হয়, সেই জায়গাগুলিরই এই 'রাম বন গমন পথ' প্রকল্পের আওতায় উন্নয়ন করা হচ্ছে। এর বেশিরভাগ জায়গাই অবশ্য মধ্যপ্রদেশে। তবে ৩২ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে ছত্তিশগড়েও। এই পথে পড়ছে, চন্দ্রপুর থেকে মিরৌনি, বানহিল থেকে পাকারিয়া, তিলাই থেকে তারাউদ, শিবরনারায়ণ থেকে খারউদ, তারাউদ থেকে বানহিল, পাকারিয়া থেকে পমগড় পর্যন্ত বিস্তৃত রাস্তা। পর্যটকদের সুবিধার্থে এইসব পথে বিদ্যুতায়ন করা হবে। পাশাপাশি, রাস্তায় থাকে থাকবে পানীয় জলের ব্যবস্থা, শৌচাগার, রেস্তোঁরা, ইত্যাদি।