সংক্ষিপ্ত
লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটের ঐক্য ভেঙে খানখান হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের অন্য দলগুলির বোঝাপড়ার অভাব প্রকট হয়ে উঠছে।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন নীতীশ কুমার। তিনি আরজেডি-র সঙ্গে জোট ভেঙে এনডিএ-তে ফিরতে পারেন। বিহারের রাজনীতিতে এই জল্পনা শুরু হয়েছে। শুক্রবারই পদত্যাগ করতে পারেন নীতীশ। তিনি জেডিইউ-এর সব বিধায়ককে পাটনায় আসার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে ইন্ডিয়া জোটে ভাঙনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। জেডিইউ-এর অন্দরমহলের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে যাওয়ার পাশাপাশি বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার সুপারিশও করতে পারেন নীতীশ। সেটা হলে বিহারের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি হবে। এর আগেও বিজেপি-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আরজেডি ও কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে জোট সরকার গড়েছিলেন নীতীশ। কিন্তু সেই জোট থেকে বেরিয়ে গিয়ে তিনি এনডিএ-তে যোগ দেন। তারপর ফের এনডিএ ছেড়ে আরজেডি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে জেডিইউ। আবার সেই জোটে ভাঙনের জল্পনা তৈরি হয়েছে। এভাবে বারবার শিবির বদল করলে নীতীশের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ কী?
লোকসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজ্যে জোট নিয়ে বেশ চাপে কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্ট করে দিয়েছে, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করা হবে না। পাঞ্জাবে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করছে না আম আদমি পার্টি। দিল্লিতেও আলাদা লড়াই করতে পারেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এবার বিহারে যদি জেডিইউ ও বিজেপি একসঙ্গে লড়াই করে, তাহলে কংগ্রেস ও আরজেডি-র লড়াই কঠিন হয়ে যাবে।
মোদীর সঙ্গে জনসভা করবেন নীতীশ?
বিহারের রাজনৈতিক মহলে শোনা যাচ্ছে, ৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে জনসভায় যোগ দিতে পারেন নীতীশ। সেদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে এনডিএ-তে ফিরতে পারে জেডিইউ। এই জল্পনা সত্যি হলে লোকসভা নির্বাচনের আগে ইন্ডিয়া জোটের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
একলা চলো রে- লোকসভা নির্বাচনের আগে একা লড়ার বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, বড় ধাক্কা ইন্ডিয়া জোটে
লোকসভা নির্বাচন কবে? সম্ভাব্য তারিখের ইঙ্গিত দিল নির্বাচন কমিশন, দেখে নিন তালিকা