সংক্ষিপ্ত


ডাবল ইঞ্জিন সরকার বনাম দুই যুবরাজের সিংহাসন বাঁচানোর লড়াই

এটাই এবারের বিহারের ভোটের মূল কথা

রবিবার মূল সূরটা বেঁধে দিলেন নরেন্দ্র মোদী

বিহারের দুই যুবরাজকে তিনি মনে করালেন উত্তরপ্রদেশের কথা

বিহারের ভোটে এবার ডাবল ইঞ্জিন সরকারের বিরুদ্ধে দুই যুবরাজের সিংহাসন বাঁচানোর লড়াই। রবিবার চাপড়ার এক জনসভা থেকে বিহারের ভোটের সূর বেঁধে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি কারোর নাম না করে মোদী বলেন উত্তরপ্রদেশে দুই যুবরাজের যা হাল হয়েছিল, বিহারেও দুই যুবরাজের সেই হাল-ই হবে। প্রথম দফার ভোটেই নীতিশ কুমারের নেতৃত্বে এনডিএ-র ক্ষমতায় ফেরার ইহ্গিত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গত কয়েক বছর ধরেই বিরোধীদের কোনঠাসা করতে যুবরাজ শব্দবন্ধটি বিজেপিকে বারেবারে ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রে তো এই শব্দবন্ধ এবং এর পিছনে লুকিয়ে থাকা বংশানুক্রমিক রাজনীতিকর আক্রমণ দারুণ কার্যকর হয়েছে। এছাড়া এর আগে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটের সময় মুলায়ম সিং যাদবের পুত্র হিসাবে অখিলেশ যাদবকেও একই ধরণের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে। মহারাষ্ট্রে আদিত্য ঠাকরে-কে ঘিরেও এই রব উঠতে শুরু করেছে। রবিবার এই একই আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শানালেন লালুপ্রসাদ যাদব পুত্র তথা বিহারের মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজশ্বী যাদব।

এদিন কয়েক বছর আগে প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে বিজেপির জয়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিহারেও দু'জন 'যুবরাজ' তাদের সিংহাসন রক্ষা করতে লড়ছেন। রাহুল গান্ধীর নাম মুখেই আনেননি তিনি, তেজস্বী যাদবের নামও সরাসরি না করলেও তাঁকে 'জঙ্গলরাজ কা যুবরাজ' বলে কড়া আক্রমণ করেছেন। কিন্তু, উত্তরপ্রদেশের মতো বিহারেও দুই 'যুবরাজ'-এর মুকুট ধুলোয় লুটোবে, কারণ বিহারের মানুষের সামনে রয়েছে 'ডাবল ইঞ্জিন'-এর সরকার - দেশের বিজেপি সরকার এবং রাজ্যের নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন বিজেপির জোট সরকার।

এছাড়া এদিন করোনাভাইরাস মহামারির বাধাগ্রস্ত মধ্য়েও প্রথম দফায় বিপুল হারে ভোট দেওয়ায় বিহারের মানুষকে ধন্যবাদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিহারবাসী যে এনডিএকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনবে, মানুষের ভোটদানের এই উৎসাহ দেখেই সেই বিষয়ে তিনি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমি নিশ্চিত যে আপনারা (বিহারবাসী) ভোট দিয়ে বিহারকে আবার 'বিমার' (অসুস্থ) হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবেন।' এছাড়া এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী ফের পাক সংসদে পুলওয়ামার হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিহারের পুত্রদের বীরত্ব' নিয়ে যারা সন্দেহ প্রকাশ করেছিল, তাদের আসল চেহারা এতে প্রকাশ হয়ে গিয়েছে।